শেষ আপডেট: 10th August 2024 20:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশে প্রচুর হিংসার ঘটনা ঘটেছে। জায়গায় জায়গায় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। কোথাও ঘরবাড়ি জ্বালানো হয়েছে, কোথাও গণপিটুনির খবরও আসছে। পাশাপাশি একাধিক জায়গা থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার খবরও মিলেছে। এরই প্রতিবাদে শনিবার ঢাকায় বিপুল জনসমাবেশ হয়। হাজারো মানুষের ভিড়ের কারণে যান চলাচলও স্তব্ধ হয়ে গেছিল।
ঢাকার শাহবাগে শনিবার বেলা তিনটের সময়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের পাশাপাশি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদেই জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন তো ছিলই, একই সঙ্গে দেশের আমজনতাকেও শামিল হতে দেখা যায়। শাহবাগ সহ আশেপাশে একাধিক এলাকার রাস্তাতেও এই বিক্ষোভ সমাবেশের প্রভাব পড়ে। বহুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসমাজসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল।
বিগত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ থেকে একাধিক ছবি, ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার ভিত্তিতেই দাবি করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরও দেদার হামলা হয়েছে। যদিও যারা ছাত্র আন্দোলনে সামিল ছিলেন তারা স্পষ্ট জানান, এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন, বরং এই ঘটনাগুলির তারা নিন্দা করেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়া ডঃ মহম্মদ ইউনুসও শান্তির বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, তিনি আছেন তাই কোনও সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণ হবে না। সকলকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপরও অবশ্য স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। নতুন করে একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছে। তাই এখনও ডিউটি পালনের জন্য একাধিক থানায় যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না পুলিশ কর্মীরা। অগস্টের গোড়া থেকে নতুন করে হিংসা পরিস্থিতিতে বেশ কিছু পুলিশ কর্মীর মৃ্ত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত রবিবার এনায়েতপুর থানা ছেড়ে পালানো ১৪ জন পুলিশকে যেভাবে খুঁজে এনে পিটিয়ে মেরেছিল হামলাকারীরা, তাতে যারপরনাই আতঙ্কিত খোদ পুলিশ কর্মীরাই।