শেষ আপডেট: 16th August 2024 17:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিকেলে এক এক্সবার্তায় একথা জানিয়ে মোদী লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুস আমাকে ফোন করেছিলেন। আমাদের মধ্যে চলতি পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।
প্রগতিশীল বাংলাদেশ এবং সুস্থিতি, শান্তির পরিবেশ ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ভারতের সমর্থনের কথা ফের জানানো হয়েছে তাঁকে। বাংলাদেশে বসবাসকারী সমস্ত সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চিত আশ্বাস দিয়েছেন তিনি, জানিয়েছেন মোদী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসার পর থেকে সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত হতে শুরু করেন। হিন্দুদের বাড়িঘর ভেঙে, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে থাকে। যদিও তখন থেকেই মুহম্মদ ইউনুস হিংসাত্মক ঘটনা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে আসছেন। এবারেও পড়শি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার নিশ্চয়তা দেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৪০ কোটি ভারতবাসী বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত সর্বদা বাংলাদেশের ভাল চেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নতি চাই। আমরা আশাকরি বাংলাদেশের পরিস্থিতির দ্রুত স্বাভাবিক হবে। ভারতবাসী চায় সে দেশে বসবাসকারী হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। মোদীর সেই ভাষণের ২৪ ঘণ্টার মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করলেন বাংলাদেশের কর্ণধার।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক।হিংসায় সংখ্যালঘুদের উপরও হামলার অসংখ্য ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেখা করে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে। ইউনুস অল্প সময়ের নোটিসে ঢাকায় ঢাকেশ্বরী কালী বাড়িতে গিয়ে হিন্দু প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। ঐক্য পরিষদের অভিযোগ, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫২টিতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো হয়।