শেষ আপডেট: 9th June 2023 15:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত শুক্রবারের ঘটনা। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ওড়িশার বাহানাগার কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসও সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা তিনশ ছুঁইছুঁই। এমতাবস্থায় সেই মৃতদেহগুলি রাখার জন্য স্থানীয় একটি স্কুলকে অস্থায়ী মর্গ বানানো হয়েছিল। এবার পড়ুয়াদের আপত্তিতে সেই স্কুলই ভেঙে ফেলল প্রশাসন।
ওই দুর্ঘটনার পর স্কুলের ক্লাসগুলি একপ্রকার লাশঘরে পরিণত হয়েছিল। এখনও তার দেওয়ালে লেগে রক্তের ছাপ। মেঝের ইতিউতি পড়ে চাপচাপ রক্ত। এরপরই স্কুলবাড়িটি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মনে ভয় দানা বাঁধতে থাকে। তারা আর সেখানে ফিরতে চাইছিল না। এতে সমস্যায় পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষও। শেষে ঠিক হয় পড়ুয়াদের দাবি মেনে স্কুলের যে ঘরে মৃতদেহগুলি ডাঁই করে রাখা ছিল, তা ভেঙে ফেলা হবে। প্রশাসনের কাছে এই সংক্রান্ত আবেদনও জানানো হয়।
অবশেষে ঘটনার এক সপ্তাহ পর শুক্রবার সকালেই শুরু হয় ওই ক্লাসরুম ভাঙার কাজ। যখন ধীরে ধীরে অ্যাডবেস্টসগুলি নামিয়ে ফেলা হচ্ছে, তখন সেখানে জড়ো হয়েছিলেন বহু এলাকাবাসী। সেখানে ছিল এই স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়াও। তাদের মধ্যে থেকেই একজন বলে, ‘আমাদের স্কুলে লাশের স্তূপ ছিল। সেই দেহগুলি দেখলে যে কেউ ভয় পাবে। কোনওটার মাথা নেই। বেশিরভাগ মৃতদেহেরই হাত-পা ছিল না। সেসব দৃশ্য কখনও ভোলা যাবে না। তাই ওই ক্লাসরুমে পড়াশোনা করা আমাদের পক্ষে দুঃসাধ্য ব্যাপার।’
জানা গিয়েছে, স্কুলের যে অংশে ওই মৃতদেহগুলি রাখা হয়েছিল, সেই ঘরটাই ভেঙে ফেলা হয়েছে। নিহতের পরিজনরা এসে যাতে দেহ শনাক্ত করতে পারে, সেজন্য দেহগুলি দু’দিন ওখানে রাখা হয়েছিল। সবার মন থেকে যাতে ভয় দূর হয়, সেই কারণে পুজো দিয়ে স্কুল চত্বরকে পবিত্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয়রা। পুজোর পর পড়ুয়ারা আবার ওই স্কুলে ফিরবে বলেই আশা করছেন সবাই।
জানা গিয়েছে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ৬৫ বছর পুরনো এই স্কুল ভবনটি ভেঙে ফেলার অনুমোদন দেন। এই জায়গায় একটি মডেল স্কুল নির্মাণের প্রস্তাবও দেন তিনি। সেখানে সমস্তরকম আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, যেমন একটি লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি এবং ডিজিটাল ক্লাসরুম থাকবে।
সরকারকে বোকা বানিয়ে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার চেষ্টা স্ত্রীর! পুলিশে অভিযোগ জানালেন ‘মৃত’ স্বামী