শেষ আপডেট: 14th September 2024 09:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্ত থেকে মৃতদেহ সৎকার- পুরো প্রক্রিয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হওয়ার অভিযোগে আগেই সরব হয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী পডু়য়ারা। সন্ধে ৬টার পর ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরাও।
এবার সেদিনের পুলিশি তৎপরতা নিয়ে মুখ খুললেন শববাহী গাড়ির চালকও। অমিত ঘোষ নামে ওই ব্যক্তির দাবি, পুলিশই সেদিন সৎকারের গাড়ি বুক করেছিল।
অমিত ঘোষের দাবি, "পুলিশই গাড়ি বুক করেছিল। তবে আমি পয়সা না নিয়েই শ্মশান থেকে বেরিয়ে আসছিলাম। তখন পুলিশই আমাকে দৌড়ে এসে টাকা দিয়ে যায়।"
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত জানান, সেদিন ডাক্তারদের যে হস্টেল আছে সেই পিছনের পথ দিয়ে গাড়ি বার করতে বলেছিল পুলিশ। সামনে ২টো এবং পিছনেও পুলিশের ২টো গাড়ি ছিল। অমিতের কথায়, "আগে থেকেই পুলিশ শ্মশানে চালান তৈরি রেখেছিল। নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহ সৎকার করা হয়।"
এর আগে দেহ সৎকারের টাকা কে মেটাল সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, "মেয়েটার সৎকারের টাকা পর্যন্ত আমাকে দিতে দেওয়া হল না । কেন ফ্রি করে দেওয়া হল? কাদের জন্য এই তাড়াহুড়ো। মেয়েটা তো ভাবল- এই কটা টাকাও বাপি খরচ করতে পারল না। ওই দিনটা আমার কাছে কি মর্মান্তিক ছিল ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।"
সে সময় তিনি এও জানিয়েছিলেন, "আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু এত প্রেসার তৈরি করা হয়েছিল। বাড়ির বাইরে চারশশো পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। বাধ্য হয়েছিলাম সৎকার করতে।"
এবার সামনে এল শববাহী গাড়ি ভাড়া করার প্রসঙ্গও।