দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগেও একবার সাইবার জালিয়াতদের খপ্পরে পড়েছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। এবার বড়সড় সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায়  এই খবর জানিয়েছেন।

নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে বন্ধু-বান্ধব, অনুরাগীদের সতর্ক করে রুক্মিণী লিখেছেন, “সবাইকে জানাচ্ছি যে আমার ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক করা হয়েছে। এবং সেই প্রোফাইল থেকে নানারকম মেসেজ যাচ্ছে। ওই মেসেজের কোনও উত্তর দেবেন না। সকাল থেকেই আমাকে অনেকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমার সোশ্যাল মিডিয়া টিম পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখছে।” গতবছর মে মাসেও সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন রুক্মিণী মৈত্র।

রুক্মিণী মৈত্রর ফেসবুকে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছেন। নানা জায়গার ঘোরার ছবিও পোস্ট করেন ফেসবুকে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলমের ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছিল। এবার রুক্মিণী মৈত্র হ্যাকারদের কবলে পড়লেন।

২০০১ সাল থেকে প্রতি বছরই বাড়ছে অনলাইনে প্রতারণার ঘটনা। আগে সাধারণ মানুষকেই বেশি টার্গেট করত হ্যাকাররা, এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকী বাণিজ্যিক সেক্টরগুলিতে হানা দিচ্ছে প্রতারণা চক্রগুলি। কম্পিউটার সিস্টেমে ম্যালওয়ার ঢুকিয়ে জরুরি ও গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। 

কলকাতা পুলিশ কিছুদিন আগেই সতর্ক করে বলেছিল, সাইবার জালিয়াতির বড়সড় চক্র সক্রিয় ভারতে। সরকারি দফতর থেকে আম নাগরিকের অন্দরমহল—সর্বত্রই হানা দিচ্ছে প্রশিক্ষিত হ্যাকাররা। প্রতারণার এমন জাল পাতা হচ্ছে যে তাতে পা দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই। সেলিব্রিটি থেকে ছাপোষা গৃহবধূ, হ্যাকারদের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন অনেকেই। 

নিয়ে কলকাতা পুলিশ বহুবার জরুরি গাইডলাইন দিয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, অপরাধীরা প্রতারণার পদ্ধতি ঘন ঘন বদলে ফেলছে। আগে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ডের পিন জেনে প্রতারণা চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে ‘কেওয়াইসি’ করার নাম করে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে ব্যাঙ্কের তথ্য জেনে প্রতারণা চলছে।  এই কারণে মোবাইলে কাউকে কোনও তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পাশাপাশি, সমাজমাধ্যমে কাউকে বিশ্বাস করে কোনও তথ্য দিতেও নিষেধ করা হচ্ছে। কোনও সমস্যা হলে বা কাউকে সন্দেহ হলেই পুলিশে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশের সাইবার বিভাগ।