শেষ আপডেট: 7 February 2024 08:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাস্তার দু’ধারে দেওয়ালে রঙবেরঙের বিজ্ঞাপন, পোস্টার দেখা যায়। কোনওটা প্রসাধনী সামগ্রী, কোথাও কেনাকাটায় ছাড়। সেই সঙ্গেই বিজ্ঞাপনী পোস্টারে থাকে কিউআর কোড। সেটা স্ক্যান করলেই বড় অফার পাওয়া যাবে। এমন বিজ্ঞানী চমকে ভুলে যদি সেই কোড স্ক্যান করে ফেলেন কেউ, তাহলেই সর্বনাশ। ছাড়ের লোভে বা সস্তায় দামি সংস্থার পণ্য পেতে কিউআর কোড স্ক্যান করা মাত্রই ফাঁকা হয়ে যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এইসব বিজ্ঞাপনী পোস্টারের বেশিরভাগেরই আড়ালে নতুন ‘কুইশিং স্ক্যাম’ চালাচ্ছে প্রতারকরা। জনসাধারণকে তাই সতর্ক করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিতে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। দিল্লির সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতারকরা নিত্যদিন লোক ঠকানোর নতুন নতুন কৌশল বের করছে। বিশ্বের নানা জায়গায় বিজ্ঞাপনী পোস্টারের মাধ্যমে হ্যাকিং বা সাইবার জালিয়াতি হয়। সেই কৌশল এবার চালু হয়েছে এ দেশেও। সাইবার জালিয়াতরা প্রতারণার জন্য বেছে নিচ্ছে রাস্তায় সাঁটানো বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের পোস্টার। সেখানে কিউআর কোডে কারিগরি করে রাখছে। বিজ্ঞাপন দেখে সেইসব কোড স্ক্যান করতে গেলেই যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে। বিজ্ঞাপনের মোড়কে এই কৌশলেই এখানে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছে অপরাধীরা। প্রতারণার এই নতুন কৌশলের নাম কুইশিং স্ক্যাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিভিন্ন নামী দামি কোম্পানির জাল ওয়েবসাইট তৈরি করছে সাইবার জালিয়াতরা। তারপর সেই কোম্পানির নাম করে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। শপিং মল, সরকারি ভবন বা জনবহুল এলাকার দেওয়ালে সেইসব পোস্টার সাঁটানো হচ্ছে। কোথাও ওয়েবসাইটে ক্লিক করে সেখান থেকে পেমেন্ট অপশনে যেতে বলা হচ্ছে। আবার কখনও বিজ্ঞাপনে থাকা সাইটে ক্লিক করে সেখান থেকে কিউআর কোড স্ক্যান করতে বলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইসব কিউআর কোডে ম্যালওয়ার ইনস্টল করা থাকছে। সেই ম্যালওয়ার একবার মোবাইলে আপলোড হয়ে গেলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্য পৌঁছে যাবে জালিয়াতদের কাছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, এই কুইশিং স্ক্যামের জালিয়াতরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই জালিয়াতির শিকার হয়েছেন অনেকে। তাই সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে। সংস্থার আসল আইডি সার্চ না করে কোনওরকম কোড স্ক্যান করতে নিষেধ করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।