শেষ আপডেট: 4 April 2024 16:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোচবিহারের সভা থেকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এল সন্দেশখালির প্রসঙ্গ।
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার কোচবিহারে প্রথম জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, "সন্দেশখালির অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলকে এর কড়া জবাব দিতে হবে। দোষীরা সাজা পাবেই। ওদের সারাজীবন জেলেই কাটবে।"
লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে গত মাসে আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসত এবং শিলিগুড়িতে সভা করে গিয়েছেন মোদী। তখনও তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছিল সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। এদিনও সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদী স্পষ্ট করেছেন, এবারের ভোটে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রধান অস্ত্র সন্দেশখালি।
এদিন কোবিহারের রাসমেলার সভা থেকে রাজবংশী, মতুয়াদের প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন,"এতদিন এদের বিষয়ে সিপিএম বা তৃণমূল কোনও পদক্ষেপ করেনি। বিজেপি ওদের জন্য সিএএ চালু করতে উদ্যোগী হতেই ওরা রাজনীতি শুরু করেছে।"
সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেসকে একই বন্ধনীতে রেখে মোদীর কটাক্ষ, "এরা দিল্লিতে একই থালায় খায়!"
বাংলার নেতা, মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া রাশি রাশি টাকার প্রসঙ্গও এদিন ফের টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, "আমরা বলি ভ্রষ্টাচার হঠাও, আর এরা বলে ভ্রষ্টাচার বাঁচাও।"
সন্ত্রাস থেকে দুর্নীতি, প্রতিটি ইস্যুতে গত ১০ বছরে তাঁর সরকারের একাধিক পদক্ষেপ থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে মোদী মনে করিয়েছেন, "এটা দেশের ভোট। দেশে শক্তিশালী সরকার প্রতিষ্ঠার ভোট। আজ গোটা দুনিয়া বলে মোদী বিশ্ব নেতা, বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু আমি নিজেকে জনতার সেবক হিসেবে ভাবি। ১০ বছরে যা করেছি, তা শুধু ট্রেলার, এখনও আসল কাজ বাকি।"
কোচবিহারের মঞ্চে দলের দুই প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক ও মনোজ টিগ্গার সমর্থনে ভোট চেয়ে সভার শেষে নাটকীয়ভাবে মোদীকে বলতে শোনা যায়, " আপনারা আমার একটা কথা রাখবেন?" জনতা সমস্বরে সম্মতি জানালে মোদী বলেন, "মোবাইলের আলো জ্বালান। ঘরে ঘরে গিয়ে বলবেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী এসেছিলেন, আপনাদের খবর নিয়ে গিয়েছেন। বাংলায় এবার তৃণমূলকে কড়া জবাব দিতেই হবে।"
গত লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের ৮টি আসনের মধ্যে ৭টিতেই জয়ী হয়েছিল গেরুয়া শিবির। এবার উত্তরের ৮টি আসনেই জয় সুনিশ্চিত করতে চাইছে বিজেপি।
মোদী বলেন, "দুর্নীতিতে বাংলা ভরে গিয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বাংলাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই আরও বেশি করে বিজেপি প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে হবে।"
কয়েকঘণ্টা আগেই কোচবিহারের সভা থেকে এজেন্সি ইস্যুতে বিজেপির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনকেও বিজেপি নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। মোদী অবশ্য দাবি করেছেন, " এবারে কমিশন খুবই সক্রিয়। প্রতিটি ভোটের দিকে ওরা নজর রাখছে।"
সভায় মানুষের উপস্থিতি দেখে আপ্লুত মোদী এও বলেন, "কোচবিহার আসার পথে মানুষের এত ভিড় দেখে মনে হল যেন রোড শো হচ্ছে।"