শেষ আপডেট: 4th March 2020 09:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উন্নাওয়ে ১৫ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। এবার ধর্ষিতার বাবার উপর হামলার অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সে। ২০১৭ সালের জুন মাসে এক নাবালিকা কিশোরীকে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে। বিচারের আশায় দোরে দোরে ঘুরেছিল ওই কিশোরী এবং তার পরিবার। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে আত্মহত্যাও করতে যায় ওই কিশোরী। এইসবের পরেই সংবাদ শিরোনামে আসে উন্নাওয়ের এই ধর্ষণ কাণ্ডে। হাসপাতালে থাকাকালীন মারা যান কিশোরীর বাবা। মেয়ের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে ন্যায়বিচারের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তারপরেই ওই ব্যক্তির নামে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। গ্রেফতারও হন তিনি। তবে তিনি অভিযোগ জানান, প্রকাশ্যেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছিল কুলদীপ সেঙ্গারের ভাই অতুল সিং। কেউ একবারও বাধা দেয়নি অতুলকে। কিশোরীর বাবাকে বাঁচানো তো দূরের কথা। বুকে এবং পেটে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন উন্নাওয়ের ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা। গ্রেফতারির পর জেলে যাওয়ার আগে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কিশোরীর বাবাকে। আচমকাই পেটে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। মারাও যান ওই ব্যক্তি। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, অন্ত্র ফুটো হয়ে গিয়েছিল রোগীর। তার জেরেই রক্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সারা শরীরে পাওয়া গিয়েছিল ১৪টি আঘাতের চিহ্ন। বছর ৫৫-র এই ব্যক্তির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল কুলদীপ সেঙ্গার এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানিয়েছিলেন কিশোরীর বাবা নিজেই। সেই অভিযোগেই এবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছে কুলদীপ সেঙ্গার। গত ১৬ ডিসেম্বর উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল দিল্লির তিস হাজারি আদালত। তার চার দিন পরে সাজা শোনান বিচারক। যাবজ্জীবনের সাজা এবং ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হয় কুলদীপ সেঙ্গারের। গতবছর ৩ অক্টোবর সিবিআই এই ধর্ষণ মামলার চার্জশিট পেশ করে। সেখানে জানা যায়, নির্যাতিতাকে ২০১৭ সালে অপহরণ করে টানা ন’দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়।