শেষ আপডেট: 20th January 2020 09:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিহারের মুজফফরপুরের হোমে আবাসিকদের ধর্ষণ কাণ্ডে মালিক ব্রজেশ ঠাকুর-সহ মোট ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লি হাই কোর্ট। মুজফফরপুরের এই হোম চালাত ব্রজেশ ঠাকুর। মাসের পর মাস ধরে সেখানে আবাসিকদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পায়নি কেউই। সঙ্গে চলত নির্মম ভাবে মারধর, অত্যাচার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হয় মোট ২০ জন। তাদের মধ্যেই ১৯ জনকে সোমবার দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লি হাই কোর্ট। মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুর আবার বিহারের পিপলস পার্টির প্রাক্তন এমএলএ। একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে দোষীদের বিরুদ্ধে। আগামী ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায় এই ১৯ জন দোষীর শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত। ২০১৮ সালে মুজফফরপুরের হোমে আবাসিক মেয়েদের উপর যৌন নির্যাতন ও মারধরের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল দেশকে। মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিস)-এর অডিট রিপোর্টে ধরা পড়েছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে বলা হয়েছিল, মুজফফরপুর-সহ বিহারের একাধিক হোমে ধর্ষণ-সহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ মিলেছে। অত্যাচারের হাত থেকে নিষ্কৃতি পায়নি ছেলে-মেয়ে কেউই। লাগাতার তাদের ধর্ষণ করা হতো তাদের। মারধরও করা হতো। হুমকি দেওয়া হতো প্রাণে মেরে ফেলার। ওই রিপোর্ট হাতে আসার পরেই উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয় বিহার সরকার। তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। মুজফফরনগরের হোমে বিকৃত যৌন নির্যাতন চালানো হত নাবালিকাদের উপর। আবাসিক ৩৫ জন মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবরও মিলেছিল। অভিযোগ ছিল, ধর্ষণের পরে খুন করে দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে ওই নাবালিকাদের। হোমে মেয়েদের যৌন নির্যাতনে বহিরাগতদের ভূমিকা আছে বলেও অভিযোগ ওঠে। নির্যাতনের কিছু ভিডিও সামনে এসেছিল। চটুল গানের সঙ্গে আবাসিক মেয়েদের নাচতে বাধ্য করা হতো। সরকারি এই হোমের কেলেঙ্কারি বাইরে আসার পর নাম জড়িয়েছিল প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং আমলাদের। তবে চলতি মাসের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই জানায়, একটি মেয়েকেও খুন করা হয়নি। মাটি খুঁড়ে যে কঙ্কালগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি প্রাপ্তবয়স্কদের এবং হোমের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। হোমের যে ৩৫ জন নাবালিকা নিখোঁজ বলে দাবি করা হয়েছিল, তারাও নাকি বেঁচে আছে।