শেষ আপডেট: 4th July 2024 16:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ব্রিটেনে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার সময় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে ভারতীয় সময় শুক্রবার রাত আড়াটে পর্যন্ত। প্রায় ১০ লক্ষ হিন্দু সম্প্রদায়ের পছন্দের উপর ঝুলে রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতের জামাই ঋষি সুনকের ভাগ্য। যদিও প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষাগুলির মতে, এবারের ভোটে ১৪ বছর পর সুনকের কনজারভেটিভ পার্টিকে সরিয়ে লেবার পার্টির ফিরে আসার ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে।
ব্রিটেনের ভোটেও মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টির এবারের স্লোগান ছিল, পরিবর্তনের পালা। সেই পরিবর্তন হলে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায় ব্রিটিশ হিন্দুদের ভোটের উপর তা অনেকটাই নির্ভর করবে। হিন্দুদের মন মজাতে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টি দুই দলই বহু চেষ্টা করেছে।
ভোটের আগেই ২৯টি হিন্দু সংগঠন মিলে হিন্দু ইস্তাহার ইউকে ২০২৪ প্রকাশ করে। সেই ইস্তাহারে একগুচ্ছ দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হল, হিন্দু-বিরোধী ঘৃণাকে ধর্মীয় ঘৃণা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা। এই প্রথম ব্রিটিশ হিন্দুরা মিলিতভাবে দাবিসনদ তুলে ধরে। হিন্দুদের খুশি করতে ঋষি সুনক ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির কিয়ের স্টার্মার দফায় দফায় হিন্দু মন্দিরে গিয়েছেন।
গত ২৮ জুন স্টার্মার কিংসবারি-র স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়ে ভারতকে কৌশলগত অংশীদার বলে বর্ণনা করেন। এমনকী অনেক জায়গায় লেবার পার্টি প্রথমবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী দিয়েছে।
পূর্বাভাস যদি ঠিকদিকে গড়ায় তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ব্রিটেনেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে। কোভিড ১৯ এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে সরকার বিরোধী হাওয়া সর্বত্র। ফ্রান্স অবশ্য অতি ডানপন্থীদের দিকে ভিড়লেও ব্রিটেন মধ্য-বামপন্থাকে বেছে নিতে চলেছে বলেছে সমীক্ষায় অনুমান। ৬৫০ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩২৬।