শেষ আপডেট: 8th April 2024 14:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাথায় হাত পড়তে চলেছে চকোলেট-প্রেমীদের। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আগুনে এবার শৌখিন রসনাতেও ছেঁকা লাগার জন্য তৈরি থাকুন! চকোলেট, চকোলেট আইসক্রিম এবং চকোলেট কেক, সব কিছুই দামের তেজে মুখে তুলবার আগেই গলে জল হয়ে যাবে। কারণ ভারতে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চকোলেট তৈরির মূল উপাদান কোকো বিনসের দাম। সুতরাং, শেষ পাতে ডেজার্ট-এর জায়গায় খাবার টেবিলটাই মরুভূমি হয়ে যাবে।
চকোলেট-আইসক্রিমের পৃথিবীতে তিতকুটে স্বাদ আসতে চলেছে। আমুল ছাড়াও বাসকিন রবিন্স এবং হ্যাভমোর চকোলেট, আইসক্রিম, কেক প্রস্তুতকারক সব কোম্পানিই এখন কোকোর দামের সঙ্গে উৎপাদন মূল্যের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে যুদ্ধ চালাচ্ছে। বিশেষত আমুল ইতিমধ্যেই দাম বাড়ানোর কথা ভেবে নিয়েছে। আমুলের উৎপাদক সংস্থা গুজরাত কোঅপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জায়েন মেহতা বলেন, কোকো বিনসের দাম দেড়শো থেকে আড়াইশো টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। সেটাই এখন ৮০০ টাকা কেজি ছুঁয়েছে। ফলে অনিবার্যভাবে গ্রাহকদের অতিরিক্ত মূল্য চোকাতে হবে। চকোলেটের দাম ১০-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।
একইভাবে ভারতে জনপ্রিয় আমেরিকান আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন রবিন্সেও কোকোর মূল্যবৃদ্ধির উত্তাপ লেগেছে। সংস্থার পক্ষে মোহিত খট্টর বলেন, কোকোজাত পণ্যের ৭০-৮০ শতাংশ দাম বেড়েছে। ফলে আপাতত দাম না বাড়িয়ে সেটা হজম করার চেষ্টা করছি আমরা। গ্রীষ্মকাল কেটে গেলে অবশ্য কী হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
হ্যাভমোর আইসক্রিম ইতিমধ্যেই দামের পুনর্মূল্যায়ন করেছে এ বছরের গোড়ার দিকে। কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর কোমল আনন্দ জানান, আগেভাগেই আমরা তৈরি ছিলাম। ফলে এখন কোকোর দাম বৃদ্ধির ফলে তেমন কোনও হেরফের হবে না বলে তিনি মনে করেন।