শেষ আপডেট: 2nd September 2024 15:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে সায়ের ইঙ্গিত দিয়ে বিরোধীদের অস্বস্তিতে ফেলে দিল বিজেপির মস্তিষ্ক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। তাদের মতে, নির্দিষ্ট কল্যাণকর কাজের জন্য এটা মজবুত কৌশল। সোমবার কেরল বৈঠকের শেষদিনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সঙ্ঘ বলে, তবে একে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। তফসিলি জাতি-উপজাতিদের সংরক্ষণের বিষয়টি ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রয়োজন।
বেশ কিছুদিন ধরে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি জোরাল হয়েছে। কংগ্রেস সহ বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অনেক শরিকই দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে সরব। সেই দাবিকে যুক্তিযুক্ত বলে ইঙ্গিত দিয়ে সঙ্ঘ আভাস দিলেও এ নিয়ে ভোট রাজনীতির বিরুদ্ধে বলে এক বিবৃতিতে জানাল আরএসএস।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিভিত্তিক জনগণনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মত নেওয়া উচিত। তফসিলি জাতি-উপজাতিদের উপশ্রেণি বিভাগের সময় তাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে চাপিয়ে দেওয়া গণনাকাজ না হয়। বিজেপি সহ রাজনৈতিক দলগুলি তফসিলি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধ মতামত নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। কারণ এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। তাই খুবই সতর্কভাবে পা ফেলা উচিত।
এদিন সঙ্ঘের মুখ্য মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর বলেন, এই নীতি রূপায়ণের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকা জরুরি। আমরা বিরোধী দলগুলি এবং বিজেপির বিরোধী জোটকে এই বলে সতর্ক করে দিচ্ছি যে, ভোটপ্রচারে একে রাজনৈতিক হাতিয়ার করবেন না।
তিনি বলেন, সমাজের যে যে ক্ষেত্রে দৃষ্টি দেওয়া উচিত, সেখানে সরকারের সেই স্তরের মানুষের সংখ্যাও জানা দরকার। যেমন কোনও সম্প্রদায়ের ভিতর পুরুষ-মহিলার সংখ্যা কত, শিশু কত আছে ইত্যাদি। তাহলে এনিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, এ যেন শুধুমাত্র কল্যাণকর কাজের জন্যই প্রয়োগ হয়। রাজনীতি করার জন্য নয়। আমরা এখানেই স্পষ্টভাবে সীমারেখা টানতে চাই কেরলের পালাক্কাড়ে তিনদিনের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকের শেষদিনে বলেন আম্বেকর। তিনি আরও বলেন, হিন্দু সমাজে জাতি ও জাতিগত সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।