শেষ আপডেট: 5 April 2024 14:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ নভজ্যোত সিং সিধুর স্ত্রীর স্তন ক্যানসার ধরা পড়েছিল বছরখানেক আগে। সিধু নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীর স্তন ক্যানসারের (Breast Cancer) অপারেশন হয়েছে। দ্বিতীয়বারও ব্রেস্ট ক্যানসারের সার্জারি হচ্ছে। ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসার বাড়ছে। অ্যানথ্রোপলজি অব ইন্ডিয়ার একটি সার্ভে রিপোর্ট বলেছিল, ভারতে প্রতি ১০ জন মহিলার ৩-৪ জনই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। কেন হয় এই রোগ?
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে সিধু লিখেছেন, “যমুনানগরের ডা. ওয়ারইয়াম হাসপাতালে ব্রেস্ট ক্যানসারের দ্বিতীয় সার্জারি হচ্ছে আমার স্ত্রীয়ের।”
Wife will be operated at the Dr Waryam Singh Hospital , Yamunanagar today … she will undergo her second operation for breast cancer !
— Navjot Singh Sidhu (@sherryontopp) April 4, 2024
মহিলাদের ক্যানসারের ক্ষেত্রে এ দেশে দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্রেস্ট ক্যানসার। তার আগে, সবচেয়ে বেশি মেলে জরায়ুমুখের ক্যানসার। আবার প্রতি দুজন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলার মধ্যে এক জন মারা যান এ দেশে। ফলে স্তন ক্যানসার যে খুব সহজ অসুখ নয়, তা সমীক্ষাতেই স্পষ্ট। ভারতের ক্ষেত্রে দেখা যায়, শহরবাসী মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। আবার গ্রামের দিকে সার্ভিক্সের ক্যানসার বা জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। এর কারণ গ্রামের মহিলারা পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হন অনেক সময়। আবার শহরের মহিলাদের লাইফস্টাইল সুস্বাস্থ্যকর না হওয়ায় তাঁরা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
কেন হয় স্তন ক্যানসার?
দুরকম কারণ থাকে, যা পরিবর্তনশীল আর অপরিবর্তনশীল। পরিবর্তনশীল কারণগুলির মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হল, খারাপ লাইফস্টাইল। জাঙ্কফুড খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম কম করা—এসব কারণে শরীরে ফ্যাট বাড়ছে, যার ফলে বাড়ছে ইস্ট্রোজেন হরমোন। এই হরমোন স্তন ক্যানসারের একটি অন্যতম কারণ। আরও একটি বিষয় হল, এখন মহিলারা অনেকেই পড়াশোনা শেষ করে, চাকরিতে সেটল করে তার পরে বিয়ে করছেন ও পরিবারের কথা ভাবছেন। অনেকে সন্তান ধারণ করছেন না, অনেকে সন্তানধারণ করলেও বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন না। কম বয়সে সন্তানধারণ করা, বুকের দুধ খাওয়ানো—এগুলো সবই ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধী ফ্যাক্টর। এর কোনওটাই নিয়ম করে ঠিক করার বিষয় নয়। বিয়ের বয়স বা সন্তানধারণের বাধ্যতা বাইরে থেকে ঠিক করে দেওয়া যায় না। তবে এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা প্রয়োজন।
অন্য কারণটি হল অপরিবর্তনশীল, যেটা জেনেটিক। জেনেটিক মানে এই নয় যে মায়ের হলে মেয়ের হবে। তবে কারও হলে, তার পরিবারের পরের প্রজন্মে সম্ভাবনা থেকে যায় স্তন ক্যানসারের। ফলে চল্লিশ বছর আগে পর্যন্ত পরিবারে কারও যদি স্তন ক্যানসার থাকে, তাহলে সে পরিবারের মেয়েদের অন্তত ৩০ বছর বয়স থেকে সচেতন হওয়া উচিত, পরীক্ষা করা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বোস ইনস্টিটিউটের গবেষকরা কিছুদিন আগেই তাঁদের গবেষণাপত্রে দাবি করেছিলেন, স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী কোষ চিহ্নিত করা গিয়েছে। গবেষকরা দাবি করেছিলেন, 'বি রেগুলেটরি কোষ'--এই কোষটিই স্তন ক্যানসারের (Breast Cancer) বাড়বৃদ্ধির জন্য দায়ী। ব্রেস্ট ক্যানসারের আক্রান্তদের শরীরে এই কোষটাই খুঁজে পাওয়া গেছে যা ক্যানসার কোষগুলোর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, ক্যানসারের বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতেও বাধা দেয়।