শেষ আপডেট: 7th July 2024 10:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মানিকতলার উপ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রীকে প্রার্থী করতে চাইছেন, সবার আগে তা দ্য ওয়ালেই লেখা হয়েছিল। হয়েছেও তাই। তাঁর একদা সহপাঠী সুপ্তিকে যেদিন মমতা নবান্নে ডেকেছিলেন, সেদিন আবার এও বলে দিয়েছিলেন শ্রেয়া পাণ্ডেকে যেন উপ নির্বাচনের প্রচারে ঢুকতেই দেওয়া না হয়।
বুধবার মানিকতলায় ভোট। দেখা গেল, সত্যিই মায়ের প্রচারে মেয়েকে ঢুকতেই দিলেন না কুণাল ঘোষ, অতীন ঘোষরা। মা সুপ্তি পাণ্ডের প্রচার থেকে অনেক দূরে থাকলেন শ্রেয়া। বাংলার রাজনীতিতে এরকম ঘটনা বিরল শুধু নয় বেনজির।
সাধন পাণ্ডে ছিলেন মানিকতলা এলাকার অবিসংবাদিত নেতা ও বিধায়ক। তিনি জীবিত থাকার সময় থেকেই তৃণমূলের রাজনীতিতে মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের হাতেখড়ি হয়ে গেছিল। শ্রেয়ার জন্মদিনে মানিকতলায় হই হই ব্যাপার ছিল। পাণ্ডে পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় পাড়ায় পাড়ায় শ্রেয়া পাণ্ডের জন্মদিনে সাধনের অনুগামীরা কেক কাটতেন, বেলুন ফোলাতেন, কখনও বা শ্রেয়ার সঙ্গে সেলফি তুলতেন।
এবার তেমনটা হল না। গত সপ্তাহে শ্রেয়া তাঁর গুটি কয়েক বন্ধুকে নিয়ে বাড়িতেই জন্মদিন পালন করেছেন। পাড়ায় পাড়ায় কেউ তাঁর জন্মদিন পালন করেননি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মানিকতলা উপ নির্বাচনের বিষয়টি এবার নিজে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের সময়ে উত্তর কলকাতার বহু তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলর তলায় তলায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করছিলেন বলে খবর। অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হয়েছিল বলেও শোনা যায়। সুদীপের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন খোদ কুণাল ঘোষ। পরিণামে মানিকতলা বিধানসভায় মাত্র সাড়ে ৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
এবার কুণাল ঘোষ, অনিন্দ্য রাউত, অতীন ঘোষদেরই মমতা দায়িত্ব দিয়েছেন মানিকতলা সামলানোর। তাঁরই নির্দেশ, শ্রেয়াকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। শুধু শ্রেয়া নয়, মানিকতলা এলাকায় এক নতুন দাদাও মাথা তুলছিলেন। তিনি টাকাও তুলছিলেন বলে কালীঘাটে খবর ছিল। সেই দাদাকে তিন সপ্তাহ আগে স্থানীয় থানা তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে এক রাত লালবাজারে রেখে ধমক ধামক দেওয়া হয় বলেও খবর। ভোটের ময়দানে সেই দাদারও দেখা নেই। ১০ তারিখের আগে তাঁকে মুখ দেখাতেই বারণ করে দেওয়া হয়েছে।