শেষ আপডেট: 19th June 2024 00:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: "সঙ্গে সঙ্গে দমকল বিভাগে ফোন করেছিলেন কর্মীরা। তাঁরা চলেও এসেছিলেন। কিন্তু হলং বাংলোকে বাঁচাতে পারলাম না।"
মঙ্গলবার রাতে দ্য ওয়ালের টেলিফোনের অপরপ্রান্তে রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। একরাশ আফসোস ঝরছে বীরবাহার কণ্ঠে।
প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য হলং বাংলো, মঙ্গলবার রাতে আগুনে যা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বীরবাহা বলছিলেন, " হলং যেন প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য। তাই ওখানে কাঠ দিয়েই তৈরি করা হয়েছিল আস্ত বনবাংলো। কাঠের বাংলো, ফলে আগুন নিমেষে ভয়াবহ আকার নেওয়ায় বাংলাকে রক্ষা করতে পারলাম না।"
রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
ফি-বারই বর্ষার কারণে ১৫ জুন থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বাংলা বন্ধ রাখা হয়। এখানে ৫টি ডাবল বেডের রুম ছিল। সবকটি কাঠের। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আস্ত বাংলো। তবে এই সময় পর্যটক না থাকায় বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গেছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধেয় বিধ্বংসী আগুন লাগে হলং বাংলোতে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলোর দায়িত্ব থাকা কর্মীরা দমকলে খবর দেন। দমকল বাহিনী এসে পৌঁছায়ও। ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই! কী কারণে কিংবা কীভাবে আগুন লাগল তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন দফতরের পদস্থ কর্তারা।
হলং বাংলোয় বিধ্বংসী আগুন, ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গেল জলদাপাড়ায়#TheWallBangla #Jaldapara #Fire #WestBengal pic.twitter.com/oOmeRHwGe4
— The Wall (@TheWallTweets) June 18, 2024
বন দফতরের এক কর্তার কথায়, "এখানকার নৈস্বর্গিক পরিবেশ মানুষকে বারে বারে হাতছানি দিয়ে টেনে আনে। খুব কাছ থেকে প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করার অন্যতম আদর্শ জায়গা এই হলং। প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য বললেও অত্যুক্তি হয় না।"
হলং আরও একটি কারণে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়। তা হল এখান থেকে সহজেই জলদাপাড়া এলিফ্যান্ট সাফারি করা যায়। শিলিগুড়ি থেকে ১৩৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই হলং বাংলোয় ফি-বারই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। স্বভাবতই এহেন প্রকৃতির স্বর্গরাজ্যে আগুন লাগার খবরে হতাশ পর্যটকরা।