শেষ আপডেট: 1st July 2024 18:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: এবার বর্ধমানের রাজপথেও নামল বুলডোজার। ভেঙে ফেলা হল অবৈধ দখলদারি। হকার উচ্ছেদে সোমবার অভিযানে নামে বর্ধমান পুরসভা। বেশ কিছু দোকান ভেঙে সরিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই শহরে অবৈধ দোকানদারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার। বলেছিলেন, "রাস্তায় নেমে কাজ হবে।"
সোমবার দুপুরেই পুরসভার সামনে শুরু হয় হকার উচ্ছেদ অভিযান। পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার, মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস ও ডিএসপি অতনু ঘোষাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় ব়্যাফ ও বিশাল পুলিশবাহিনী। বর্ধমান শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বি বি ঘোষ রোডে অভিযান হয়। দখলদারের দাপটে এই এলাকায় পথ চলাই দায় বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
এদিন জেলখানা মোড়ের পুরনো বিগবাজার এবং বর্ধমান আর্কেডের সামনের এলাকা থেকে চার্চের দিকে রাস্তায় বেআইনি নির্মাণ বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেয় পুরসভা। অনেকে নিজেরাই নিজেদের দোকান সরিয়ে নেন। আগেই শহরে মাইকে প্রচার করেছিল পুরসভা। এদিন অভিযান চলাকালীন কিছু হকার বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার জানান,নোটিস দিয়েই অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন,"আমরা কারও রুটিরুজি কাড়তে চাই না। কিন্তু মানুষ রাস্তায় চলতে পারবে না এটাও কোনও কথা নয়। কেউ কেউ নোটিস অগ্রাহ্য করেছেন। আবার অনেকে নিজেরাই দোকান সরিয়ে নিয়েছেন। আমরা চাই তাঁরা ব্যবসা করুন। কিন্তু নিয়ম মেনে। মূল রাস্তা না আটকে।" মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস জানান, শহরের মূল রাস্তাগুলোয় অভিযান চলবে। তার আগে রিপোর্ট নেওয়া হবে।
এদিকে রুটিরুজির হারানোর আশঙ্কায় ক্ষুব্ধ হকাররা। কেউ জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবেন। কেউ বলছেন, তারা গরিব ঘরের ছেলে। খেটে খেতেন। এখন তুলে দিলে আত্মহত্যা করতে হবে। আবার কারও বক্তব্য, এক মাস সময় দেওয়ার কথা ছিল। সেই সময়টুকুও দেওয়া হল না। একদিকে মানুষের রুটিরুজি। অন্যদিকে রাস্তা ফাঁকা করা। এই দুই সমস্যার কাঁটা একসঙ্গে সামাল দেওয়াই এখন প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ।