শেষ আপডেট: 29th May 2023 10:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জিতে কংগ্রেসের খাতা খুলেছিলেন বাইরন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। তাঁর জয় রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ বদলে দিয়েছিল। সোমবার সেই বাইরন যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে (Bayron Biswas joins TMC)। ফলে বাংলার বিধানসভায় ফের কংগ্রেসের (Congress) খাতা বন্ধ হয়ে গেল।
২ মার্চ সাগরদিঘি ভোটের (Sagardighi Election) ফল ঘোষণা হয়েছিল। তারপর ৯০ দিনও কাটল না, বাইরন তৃণমূলে যোগ দিয়ে দিলেন। তাঁর শপথগ্রহণ নিয়েও কম নাটক হয়নি। দেরি হচ্ছে দেখে বাইরনকে নিয়ে রাজভবনে তদ্বির করতে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। সেই বাইরন শপথ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কত কীই না বলেছিলেন। এদিন সেই তিনিই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারে গিয়ে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
বাইরনের ভোটে জেতার পরে এই গুঞ্জন সাগরদিঘিতে ছিল যে, কতদিন তিনি কংগ্রেসে থাকবেন। ফল ঘোষণার দিন সেই প্রশ্নই করা হয়েছিল তাঁকে। ভোটে জেতার পর 'দ্য ওয়াল'-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাইরন বলেছিলেন, ‘আমায় তৃণমূল কিনতে পারবে না। তৃণমূলকে আমি কিনে নেব।’
এমনিতে বাংলার রাজনীতিতে দলবদল এখন জলভাত ব্যাপার। একুশের ভোটের পর বিজেপির অন্তত খান আষ্টেক বিধায়ক পদ্মফুল ছেড়ে জোড়াফুলে শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু বাইরনের জয় ছিল অন্য মাত্রার। কারণ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর জয় বাংলার রাজনীতিতে মাইলফলক বলে মনে করেছিলেন অনেকে।
এখন প্রশ্ন হল, বাইরনের তৃণমূলে যাওয়া কি বাম-কংগ্রেস জোটের জন্যও ধাক্কার? তৃণমূল বিরোধী মানুষ কি আর তাঁদের বিশ্বাস করবেন?
সোমবার দুপুর তিনটের সময় পর্যন্ত এ ব্যাপারে কংগ্রেস বা সিপিএম কেউ সরকারিভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে কংগ্রেস নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, বাইরন সাগরদিঘির মানুষের মতামতকে অবজ্ঞা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিধায়ককে কিনতে পারলেও মানুষের মনোভাবকে তৃণমূল পাল্টাতে পারবে না।
ভোটের আগে থেকেই বাইরনকে নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিল তৃণমূল। সাগরদিঘি থানা ঘেরাও করে তাঁর গ্রেফতারি দাবি করেছিল তৃণমূল। ভোটের পরেও তাঁর হুমকি ফোন নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধেছিল মুর্শিদাবাদে। কুণাল ঘোষ সরাসরি বাইরনের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন। এদিন সেই তিনিই যোগ দিলেন তৃণমূলে।
অর্পিতা ১০ মাস পর জেলের বাইরে বেরোলেন, চেহারা ছবি বদলে গেছে অনেকটাই