পালসিট সার্বজনীন দুর্গা পুজো
শেষ আপডেট: 31st August 2024 11:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: আরজি করের আঁচ এবার পড়ল পূর্ব বর্ধমানের দুর্গা পুজোয়। সরকারি অনুদান নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন পুজো কমিটির সম্পাদক। কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাবে সায় দেননি কমিটির অন্য সদস্যরা। ক্ষোভে কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন কমিটির সম্পাদক। পালসিট সার্বজনীন দুর্গা উৎসব কমিটির পুজো ঘিরে এখন শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়
পালসিট গ্রামের সার্বজনীন দুর্গা পুজো দেড়শ বছর পার করেছে। গ্রামের এটি ঐতিহ্যবাহী পুজো। বাসিন্দারা চাঁদা তুলে পুজো করতেন। গ্রামের পুজোরগুলির মধ্যে পুরনো বলে গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান পাচ্ছে এই পুজো কমিটি। এবছর আবার তা বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। পুজোর খরচের অনেকটা অংশ এই সরকারি অনুদানের টাকায় হয়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের প্রাক্তন আধিকারিক পালসিট সার্বজনীন দুর্গা পুজো উৎসব কমিটির সম্পাদক ছিলেন। দিন কয়েক আগে কমিটির মিটিং হয়।
রাজীববাবু সেই মিটিংয়ে প্রস্তাব দেন, আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরকারি অনুদান বয়কটের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাবে অন্যান্য সদস্যদের কেউ রাজি হননি। তাই তিনি পুজো কমিটির সম্পাদক পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তিনি বলেন, "একজন চিকিৎসক তাঁর কাজের জায়গায় গিয়ে ধর্ষিতা হচ্ছেন, খুন হচ্ছেন অথচ সরকার অপরাধীদের আড়াল করছে। এটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব। তাই আমি চেয়েছিলাম আমরা পুজোর অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা না নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।কিন্তু এখানে বাকি সদস্যরা প্রস্তাবে সায় দেননি। তাই আমি সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।তবে পুজোর সঙ্গে থাকব।এটা আমাদের গ্রামের দুর্গা পুজো। তাই পুজোয় থাকব। কিন্তু কোনও কাজে বা পদে থাকব না।"
এ বিষয়ে রাজীববাবু তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেছেন। আর এর পরেই বির্তকের ঝড় উঠেছে। বিষয়টি বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক কানেও পৌঁছেছে। তাতে নিশীথবাবু বলেন, "এটা একেবারেই রাজীববাবুর নিজস্ব ব্যাপার। তিনি সরকারি অনুদান না নেওয়ার পক্ষে, কিন্তু গ্রামবাসীরা তাতে রাজি হননি। তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি যা ভালো বুঝেছেন তাই করেছেন।"