শেষ আপডেট: 31st July 2024 19:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিজেকে পুলিশ হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল। বলেছিল, স্ত্রী নাকি কাকলি ঘোষ দস্তিদারের আপ্ত সহায়ক। দোকানে আসা এক ক্রেতার এমন কথায় বিশ্বাস করেছিলেন বারাসতের বাসিন্দা তপন মজুমদার ও তাঁর ভাই। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় লক্ষ টাকা খোয়ালেন দুই ভাই। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ মমতাজ আলি। মধ্যমগ্রামে বাড়ি। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তে করতে গিয়ে পুলিশ জানাতে পেরেছে, স্ত্রী সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় মমতাজের। তার স্ত্রী বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদের আপ্ত সহায়ক নন। অভিযোগ, এ ভাবেই ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে লোক ঠকাতো মমতাজ।
অভিযোগকারী তপন মজুমদার জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে মমতাজ বাইক নিয়ে তাঁদের দোকানে এসেছিল। তার মাথায় পুলিশের হেলমেট দেখে তপনবাবু নাম জানতে চান। অভিযোগ, তখন মমতাজ নিজেকে অনুপম চক্রবর্তী নামে পরিচয় দেয়। এমনকী নিজের স্ত্রীকে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের আপ্ত সহায়ক বলে দাবি করে। পুলিশ বড় বড় কর্তার সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে বলে জানায় মমতাজ। ফলে তপনবাবু ও তাঁর ভাই মমতাজকে বেশ প্রভাবশীল বলেই ভাবতে থাকেন। তাই নিজেদের পাসপোর্ট ও জমি সংক্রান্ত সমস্য়া নিয়ে মমতাজের সাহায্য চান তাঁরা। তাতে সুযোগ পেয়ে যায় মমতাজও। সমস্ত সমস্যা সমাধান করে দেবেন বলে দাবি করে সে। এই ভাবে তপন মজুমদার ও তার ভাইয়ের থেকে দফায় দফায় ৭৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এতেও কোনও কাজ না হওয়ায় তপনবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরেই বারাসত থানা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেতেই তদন্তে নামে পুলিশ। জানতে পারে ওই ব্যক্তির নাম অনির্বাণ নয়, মমতাজ। সে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। এভাবেই ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে সে। ইতিমধ্যেই তপনবাবুকে তাঁর খোয়া যাওয়ার টাকা মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করে দিয়েছে বারাসত পুলিশ। বাকি টাকাও উদ্ধার করে দেওয়া আশ্বাস দিয়েছে।