শেষ আপডেট: 9th August 2024 17:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের জেরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জঙ্গিসহ জেলভাঙা প্রায় ১২০০ পলাতক আসামি ভারতে ঢুকে পড়তে পারে। শুক্রবার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে এরকমই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশে চলতি অরাজকতার মধ্যে সেদেশের বেশ কয়েকটি জেল থেকে পালায় আসামিরা। যাদের মধ্যে অসংখ্য কট্টর ইসলামপন্থী জঙ্গিও আছে। সেই সংখ্যাটা প্রায় ১২০০।
সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসার পর থেকে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। বিএসএফ জানিয়েছে, জঙ্গিসহ অন্তত ১২০০ বন্দি পালিয়ে গিয়েছে। তারা অস্ত্রসহ ভারতে ঢুকতে পারে। ওপারের সীমান্ত প্রহরার কাজে নিযুক্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োগ করায় ওপারে সীমান্ত প্রহরায় ঢিলে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দুদেশের সীমান্তরক্ষীরা সারাদিনে অসংখ্যবার তথ্য আদানপ্রদানের কাজ করছেন। দুদেশের বাহিনীই খোলা মনে আলোচনা করে ব্যাপক নিরাপত্তার চেষ্টা চালাচ্ছে। সীমান্তে নজরদারির কাজও দিনরাত শুরু হয়েছে। কোনওভাবেই যাতে ভারতে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা না ঘটতে পারে সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে বিএসএফ।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক বিএসএফের এক পদস্থ কর্তা বলেন, দুই বাহিনীর সর্বস্তরে তথ্য আদানপ্রদান চলছে। কমান্ডান্ট, নোডাল অফিসার, সীমান্ত আইজি এবং অন্যান্য ব়্যাঙ্কের অফিসার সম্মিলিতভাবে যোগাযোগ রাখছেন একে অপরের সঙ্গে। এই আলোচনাতেই উঠে এসেছে দুদেশের প্রায় ৪০৯৭ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত পেরিয়ে পলাতক বন্দিরা ভারতে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে। কাঁটাতারের বেড়া কিছু জায়গায় থাকলেও বহু জায়গা আছে যেখানে নদীপথই সীমান্তরেখা বলে মান্য করা হয়। সেসব জায়গাগুলির অনেকাংশই অরক্ষিত থেকে যায়।
বিএসএফের ওই কর্তা জানান, বিজিবি জানিয়েছে নরসিঙ্গি, শেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্ঠিয়া ও কাশিমপুর জেল থেকে বন্দিরা পালিয়েছে। তিনি বলেন, তবে আমাদের সরকারের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট ওরা কী বলছে না বলছে জানি না। কোনও পরিস্থিতিতেই কাউকে সীমান্ত পেরতে দেওয়া হবে না।
এদিকে, শুক্রবারই কেন্দ্র সরকার ভারত-বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে উচ্চপর্যায়ের একটি প্যানেল গঠন করেছে। তারা সেদেশে বসবাসকারী হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা হচ্ছে। যার জেরে কয়েক হাজার শরণার্থী হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই কমিটির মাথায় থাকছেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি।