শেষ আপডেট: 28th August 2024 12:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: নতুন করে তেতে উঠল ভাটপাড়া। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের অভিযোগ, বনধের দিন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং গোটা এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন। দু-পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া রোডে।
বুধবার বিজেপির ডাকা বনধে সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ভাটপাড়ায়। গোটা রাজ্যের নানা অংশ থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এলেও একমাত্র ভাটপাড়াতেই ওঠে গুলি চলার অভিযোগ।
বিজেপি নেতা অর্জুন সিং-এর দাবি, তৃণমূল বোমা-গুলি জোগাড় করে রেখে এখন হামলা চালাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ঘোষপাড়া মোড়ের কাছে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকানো হয়। তারপর অন্তত ছ’ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাতে জখম হয়েছেন তিনজন। এর মধ্যে দুই বিজেপি নেতা ছাড়া একজন গাড়ির চালক। অর্জুন সিং সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, সোমনাথ শ্যাম ও তরুণ সাউয়ের নির্দেশে এই গুলি চালানো হয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ওই বিজেপি কর্মী। আর গাড়ির চালকের কানের পাশ দিয়ে গুলি চলে গেছে বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। বিজেপির এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের পাল্টা দাবি, এই ধরনের ঘটনা ঘটলেই বিজেপি তৃণমূলের দিকে ঠেলে দেয়। আসলে বিজেপি পাশে মানুষ নেই। তাই অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
সকাল থেকে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা চলছিল। বেলা গড়াতেই ঘোষপাড়ায় মুখোমুখি হন অর্জুন সিং সোমনাথ শ্যাম। মুহূর্তে তেতে ওঠে এলাকা। সংঘর্ষ বেঁধে যায় দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
আরজি করে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান করেছিল ছাত্র সমাজ। সেই কর্মসূচিকে বাইরে থেকে পূর্ণ সমর্থন জানায় বিজেপি। মঙ্গলবারের ওই আন্দোলন প্রতিহত করতে আন্দোলনকারীদের উপর দেদার জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে আজ বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি।