শেষ আপডেট: 14th July 2024 13:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সরকারি অফিসে টেন্ডার পাশ করাতে গিয়ে নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ শোনা যায় ঠিকাদারদের মুখে। এবার বিডিও-র বিরুদ্ধে সারা মাসের চা, টিফিন খাওয়ার বিল না মেটানোর অভিযোগ আনলেন এক চা-দোকানি।
অভিযোগ, "বিল মেটানোর পরিবর্তে বিডিও এখন জানতে চাইছেন, কফির দাম ২০ টাকা কীভাবে হয়?" যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিডিও। অন্যদিকে সুবিচার চাইতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দ্বারস্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্ট চা দোকানি। বিডিও-র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল তৈরি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ব্লকে।
মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের অদূরে চায়ের দোকান রয়েছে নন্দ মাইতির। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির অনুমোদিত ক্যান্টিনটি মাঝে কিছুদিন বন্ধ ছিল। তখন আমার চা দোকান থেকে চা, কফি, মশলা মুড়ি প্রভৃতি বিডিও অফিসে যেত। এজন্য বিডিও সাহেব নিজেই আমাকে বলেছিলেন। এখন সারা মাসের ১৩ হাজার ৬০০ টাকা চাইতে গেলে বিডিও বলছেন, কফির দাম কীভাবে ২০ টাকা হয়?"
নন্দ মাইতির আরও অভিযোগ, "বকেয়া মিল না মিটিয়ে এখন বিডিও বলছেন, দোকানের কাগজও চেখাতে। সেটা কী করে দেখাব। ওটা তো সেচ দফতরের জায়গায় আমার অনেকদিনের দোকান।"
যদিও বিডিও বরুনাশিস সরকারের দাবি, “বাকি বড়জোর ৪ হাজার টাকা হবে। সেটাকেই বাড়িয়ে প্রায় ১৪ হাজার করা হয়েছে।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি জায়গায় যাঁরা রয়েছেন তাদের যেহেতু তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে, তাই দোকানের জায়গার কী কাগজ আছে তা আনতে বলা হয়েছে। দুটো বিষয়কে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।"
মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সমস্যার সমাধানে দু'পক্ষের সঙ্গে কথা বলব।