শেষ আপডেট: 4th July 2024 17:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রজনীশ কুমার যাদব। তরুণ এই আধিকারিক খুব শিগগিরই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন। তাই কাজের পরে তাঁর জন্য আয়োজন করা হয় এলাহি ভোজের। পঞ্চায়েত অফিসেই ফুল মালা চন্দনে বরণও করা হয়। এই প্রি ওয়েডিং সেরিমনির ছবি প্রকাশ্যে আসতেই জেলাজুড়ে শোরগোল। বিরোধীরা একে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। সরকারি অফিসের মধ্যে এই কাজ করা যায় কি না প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।
গোটা কর্মকাণ্ড হয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্তের স্নেহের ছায়ায়। উপস্থিত ছিলেন এলাকার দাপুটে নেতা ব্লক যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। কাকলি তা বিডিও রজনীশ কুমার যাদবকে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ও দূর্বা ঘাস মাথায় ছুঁয়ে আর্শীবাদ করতেই তরুণ বিডিওকে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেও দেখা যায়। গোটা ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও তাতে কান দিতে নারাজ বিডিও।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কাকলি তা সিনিয়র মানুষ। মায়ের মতো। তাই ওঁকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছি।" এই অনুষ্ঠান সরকারি জায়গায় হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। তবে কাকলি তা পরিষ্কার বলেন, "সরকারি জায়গাতেই এই অনুষ্ঠান হয়েছে। বিডিও অফিসের পাশে পঞ্চায়েত অফিসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছোট ছেলেরা আয়োজন করেছিল।"
বছর তিনেক আগে ২০২১ সালের ১৭ জুন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় কৃষি মাণ্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে আউশগ্রামের তৎকালীন বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল দোর্দণ্ডপ্রতাপ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে। সেই নিয়ে তখন কম জলঘোলা হয়নি। আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের সাফাই, "এটা তো সৌজন্যের বিষয়। এতে দোষের কী আছে।" আর বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "আসলে সরকারি আধিকারিকরা দলদাসে পরিণত হয়েছে। এটা তার জলন্ত উদাহরণ।"