শেষ আপডেট: 11th September 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবার শুধু নয়, জম্মু-কাশ্মীরের প্রতি পরিবারকে বছরে পাঁচ লক্ষ টাক করে স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপত্যকায় বছরে ১২৩ কোটি টাকার স্বাস্থ্য প্রকল্পের ঘোষণা করলেন উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। লেফটেন্যান্ট গভর্নর সিনহা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের আওতায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রতি পরিবারকে স্বাস্থ্যবিমার কার্ড পাঠানো হবে। আগে কয়েকটি পরিবারই আয়ুষ্মান ভারত কার্ডের সুবিধা পেতেন। এখন প্রতি পরিবারই এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা নিখরচায় পাবেন। সরকারের তালিকায় যে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থাকছে, সেই সব হাসপাতালে ভর্তি হলেই (সেকেন্ডারি অ্যান্ড টার্শিয়ারি কেয়ার হসপিটালাইজেশন) ওই সুবিধা মিলবে। সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এবং তাদের পরিবারও এই স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছেন উপরাজ্যপাল। তাঁর কথায়, এখন থেকে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার পরিষেবা পাবে জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি পরিবার। তিনি বলেছেন প্রায় ৬ লাখ পরিবার এখন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পায়। এই নতুন স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু হলে অন্তত ১৫ লাখ পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। ইতিমধ্যেই ১৫৯২টি মেডিক্যাল প্যাকেজে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের জন আরোগ্য প্রকল্প। লেফটেনেন্যান্ট গভর্নর বলেছেন, পরিবার ছোট হোক বা বড়, কতজন রোগী আছেন বা রোগীর বয়স ইত্যাদিতে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিলে এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। হাসপাতালে ভর্তির তিনদিন আগে থেকেই এই পরিষেবার সুযোগ পাওয়া যাবে এবং হাসপাতাল থেকে ডিসচার্চ হওয়ার ১৫ দিন পর্যন্ত ওষুধপত্র ও অন্যান্য মেডিক্যাল টেস্টের খরচ দেবে সরকার। ২০১৮-১৯ সালের বাজেট পেশ করার সময়েই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল সরকার। বিপিএল তালিকাভুক্তদের জন্য পরিবারপিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। আয়ুষ্মান ভারত নামে এই স্বাস্থ্যবিমাকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা’ প্রকল্প হিসেবেও দাবি করা হয়েছিল। স্বাধীনতা দিবসের দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, দেশের সব গরিব মানুষ, সাধারণ মানুষ যাতে কঠিন অসুখ হলে বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পান, তার জন্যই এই প্রকল্প চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন দশ কোটি পরিবার অর্থাৎ প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। সরকারের কাছ থেকে এই সাহায্য পেলে এক জন গরিব মানুষকে মহাজনের কাছে চড়া সুদে টাকা ধার নিতে হবে না অথবা সেই ধার চোকাতে সর্বস্ব বিক্রি করতেও হবে না।