শেষ আপডেট: 16th May 2024 14:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও মানহানির মামলা করলেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। আগামী ২৫ মে বাঁকুড়ার ভোট লড়াইয়ে দুজনেই মুখোমুখি হতে চলেছেন। তাই প্রচার নিয়ে বেশ উত্তেজিত দুই প্রার্থীই। মানুষের নজরে থাকার জন্য পরস্পরের দিকে বাক্যবাণ ছুড়ছেন ক্রমাগত।
মঙ্গলবার প্রচারে গিয়ে অরূপ চক্রবর্তী বলেছিলেন, “নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও অধিকার নেই সুভাষ সরকারের। চাইলে স্ক্রুটিনির দিনই তাঁকে ফেলে দিতে পারতাম।” প্রশ্ন তোলেন সাংসদ তহবিলের টাকা নিয়েও।
এরপরেই তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন সুভাষ সরকার। তাঁর অভিযোগ, কোনও প্রমাণ ছাড়াই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনসমক্ষে সাংসদ এলাকার উন্নয়ন তহবিল সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। একই সঙ্গে সুভাষ সরকার জানান, সংসদ তহবিলের সমস্ত তথ্য জেলাশাসকের কাছে থাকে। তৃণমূল প্রার্থী ওই বিষয়ে যেসব কথা বলেছেন তাতে তাঁর মানহানি হয়েছে। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা যায় বিদায়ী সংসদ সুভাষ সরকারকে।
বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু গুপ্ত এবিষয়ে বলেন, "ভোটের সময় উনি যে সব কথা বলছেন তাতে কোন সত্যতা নেই। ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের যা খরচ হয় তার সমস্ত অডিট হয়। উনি মিথ্যাচার করছেন। এসব বন্ধ হওয়া দরকার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১ জি, ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১২৩, ১২৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে, এবার ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা রুজু হয়েছে।"
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "এমপি তহবিলের হিসাব উনি ঠিকমতো দিতে পারছেন না, গঠনমূলক কোন কাজই করেননি।“ এরপরেই তাঁর যুক্তি সুভাষ সরকারের নার্সিংহোমে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। ওনার ছেলে ডাক্তার হলেও 'অপারেশন করার কোনও সার্টিফিকেট নেই, আদালতে মামলা হয়েছে। এমনকী বিদ্যুৎ চুরির মামলায় উনি ও ওনার ভাইয়ের যুক্ত থাকার বিষয়টিও প্রকাশ্যে এনেছি। তাই গাত্রদাহ থেকে এই মানহানির মামলা করেছেন। উকিল কী জিনিস উনি জানেন না, ওর বিরুদ্ধে ২৫টা মামলা করব।"