শেষ আপডেট: 13th March 2024 21:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুরন্ত মোহনবাগান। ডার্বিতে জিতে যাওয়ার পরে যে কোনও বড় দলের একটা চাপ থাকে। সেই চাপটা কাটিয়ে দিলেন সবুজ মেরুন কোচ হাবাস। তাঁর কোচিংয়ে বাগান অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতল ৪-৩ গোলে।
আইএসএলে দারুণ ছন্দে বিরাজ করছে মোহনবাগান। তারা আইএসএলে টানা সাত ম্যাচে অপরাজেয় ছিল। এমনকী কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে বাগানের রেকর্ড ভাল ছিল বরাবরই। এর আগে সাতবারের সাক্ষাতে মোহনবাগানই জিতেছিল পাঁচবার। একবার জিতেছে কেরলের দলটি।
বুধবার কোচির নেহরু স্টেডিয়ামেও সেই ঘটনার ব্যতিক্রম হল না। বাগান জিতল দাপটে। টানটান ম্যাচের যবনিকা হয়েছে দারুণভাবে। মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন চার মিনিটের মাথায় আর্মান্দো সাদিকু। তারপর রক্ষণের দোষেই দু’বার গোল হজম করতে বাধ্য হয় বাগান দল।
ম্যাচের শুরুতে সাদিকুর অনবদ্য গোলের পরে অনেকক্ষণ ম্যাচে গোল হয়নি। তারপর ৫৪ মিনিট থেকে ৬৮ মিনিট পর্যন্ত এই ১৪ মিনিটে চারটি গোল হয়েছে। দুটি গোল করেছে মোহনবাগান, অন্যগুলি ঘরের দলটি। মোহনবাগানের শেষ দুটি গোল করেছেন দীপক টাংরি ও জেসন কামিন্স। দীপক গোল করেন ৬৮ মিনিটে। আর কামিন্সের গোলটি এসেছে ইনজুরি টাইমের সাত মিনিটের মাথায়। ঘরের দলকে সুবিধে পাইয়ে দিতে রেফারি প্রায় ১২ মিনিট ইনজুরি টাইম খেলিয়েছেন। তবে শেষদিকে কেরলও একটি গোল দিয়ে ব্যবধান কমিয়েছেন। দারুণ ম্যাচ হয়েছে, টেনশনের ম্যাচ।
এই ম্যাচে বাস্কেটবল স্কোরের মতো গোল হয়েছে। সাদিকু জোড়া গোল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনিও কম যান না। এই গোলের ক্ষেত্রে মনবীর ও দিমিত্রির অবদানও রয়েছে। তবে এটাও ঠিক হাবাস পুরো দলকে তেল খাওয়ানো মেশিনের মতো করেছেন। যেন মনে হচ্ছে দলের ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে তুঙ্গে রয়েছেন।
মোহনবাগান বিপক্ষের ঘরের মাঠে যেভাবে খেলেছে সারা ম্যাচ জুড়ে, তাতে এই দলটি চ্যাম্পিয়নের পথে ছুটে চলেছে। ডার্বি জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মাঠে নেমে গিয়েছে দলটি। ম্যাচে অনেক গোল মিসও হয়েছে। তার মধ্যে খেলার শেষদিকে পেত্রাতোসের শট পোস্টে লেগে ফিরে এসেছে।
জিতে মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, তাদের পরেই রয়েছে মুম্বই।