শেষ আপডেট: 19th October 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো : কেউ থাকেন সোদপুর রেল স্টেশনের সামনে, কারোর বাড়ি বরানগরে, কেউ থাকেন উত্তরপাড়ার মাখলায়, আবার কেউ টালিগঞ্জে থাকেন। এরা সকলেই এটিকে-মোহনবাগানের ফুটবলার। সবাই আইএসএলের জন্য গোয়ায় শিবিরে রয়েছেন। কিন্তু এই বঙ্গসন্তানদের সকলেরই দুঃখ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর সময় থাকতে পারবেন না বাড়িতে। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতির জন্য শারদীয়ার দিনগুলিতে কী হবে, কেউ বলতে পারছেন না। তবুও মোহনবাগানের স্থানীয় ফুটবলারদের দাবি, মণ্ডপে হয়তো যেতাম না, কিন্তু বাড়ির সবাইয়ের সঙ্গে থাকার আনন্দটা মিস করব, পাড়ায় আড্ডা মারাটাও। দলের গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের বাড়ি টালিগঞ্জ বাঙ্গুর হাসপাতালের কাছেই। তাঁদের বাড়িতে পুজো হয়, এবার তার শতবর্ষ। কিন্তু বাড়ির ছেলে পড়ে রয়েছে গোয়ার বেনোলিনে। এটিকে-মোহনবাগান মিডিয়া টিমের প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘জানি না এবার এখানে পুজো দিতে পারব কিনা। তবে অস্টমীতে সকলে মিলে ধুতি-পাঞ্জাবি পড়ে বাইরে ঘুরতে বেরবো।’’ উত্তরপাড়ার মাখলার ছেলে প্রীতম। দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বলছিলেন, “ঠাকুর তো এবার মণ্ডপে গিয়ে দেখার সুযোগ নেই। সবাই মিলে ঠিক করেছি অষ্টমীর দিন একসঙ্গে ডিনার করব। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খাওয়াটাই উৎসব।’’ বঙ্গ-ব্রিগেডের আরও দুই সদস্য শুভাশিস বসু এবং প্রবীর দাস। আইলিগ অথবা আইএসএলের কারণে গত ২০০৭ সাল থেকেই তাঁদের পুজোর সময় ভিনরাজ্যে থাকতে হয়। তাঁদের অভ্যাস হয়ে গেলেও মন খারাপ লাগা রয়েছে। তিনিও ক্লাবের মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, “যখন স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ায় খেলতাম, মারগাঁও-এ গিয়ে অঞ্জলি দিয়ে এসেছি। এবার সেই সুযোগও নেই। টিভি আর মোবাইলেই ঠাকুর দেখতে হবে।” এদিকে, গত কয়েকবছর ধরে দুর্গাপুজোর সময় কলকাতায় ছিলেন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। তিনিও এবার শিবিরে। তিনি জানিয়েছেন, “গত বছর কলকাতায় ঘুরে বেশ কয়েকটি ঠাকুর দেখেছিলাম। বাংলার এই উৎসব আমার দারুণ লাগে। সারা শহর যেন রাস্তায় নেমে পড়ে। এবার জানি না কী হবে, তবে আমারও খারাপ লাগছে ওই উৎসবে সামিল হতে পারব না। মিস করব ওই উৎসবের আমেজ। তবে গোয়ায় এসেছি যে স্বপ্ন নিয়ে, সেটি সার্থক করতে পারলে আরও ভাল লাগবে।’’