শেষ আপডেট: 30th November 2021 18:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সবুজ মেরুন সমর্থকদের মন জয় করার ব্যর্থ অঙ্ক কষছেন এটিকে আধিকারিকরা। না হলে ডার্বি জয়ের স্মরণীয় মুহূর্তকে কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস আচমকা প্রয়াত চুনী গোস্বামীকে উৎসর্গ করলেন কেন? এই নিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন ধরে নানা বিতর্ক চলেছে। বুধবার দলের খেলা রয়েছে মুম্বই সিটির বিপক্ষে, সেই ম্যাচ নিয়ে আলোচনাও পিছনে চলে গিয়েছে এই বিতর্কে। চুনী গত হয়েছেন ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল। তারপর চুনীকে মনে করে এটিকে-মোহনবাগানে এক মিনিট নীরবতা পালনও হয়নি। এমনকি কোনও ম্যাচে চুনীর খেলা নিয়ে এক মিনিট ভাষণও শোনানো হয়নি। অথচ যখন সবুজ মেরুন সমর্থকদের সিংহভাগ এটিকে হঠাও অভিযানে নেমেছেন, সেইসময় এমন অঙ্ক কষতে গিয়েই সমস্যা আরও দানা বেঁধেছে। এটিকে কর্তারা সমর্থকদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে গিয়েছেন, সেই নিয়েই বিপত্তি তৈরি হয়েছে। কারণ চুনী গোস্বামী মোহনবাগানের একটা আবেগের নাম। তিনি ক্লাবের কিংবদন্তি, আচমকা তাঁর নাম করে ডার্বি জয় উৎসর্গে সমর্থকরা স্পনসরদের অঙ্ক ধরে ফেলেছেন। তাঁরা আরও জোরালোভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন, ‘‘রিমুভ এটিকে, এটিকে-মোহনবাগান ইজ নট মাই ক্লাব।’’ সব থেকে হাস্যকর বিষয়, চুনীর জীবনাবসানের পরেও এটিকে-মোহনবাগান একটি পুরো আইএসএল ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তারা গতবারও ইস্টবেঙ্গলকে দু’বার হারিয়েছিল। তারপরেও কোচ হাবাসের মনে পড়েনি চুনীর কথা। অথচ এবার সমর্থকদের মন জয় করতে চুনীর নামে উৎসর্গের ঘটনায় আগুনে ঘৃতাহূতির কাজ করেছে। সমর্থকরা বরং প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, হাবাসের কোনওসময় মনে হয়নি ময়দানের ক্লাব তাঁবুতে পা রাখার। তিনি বরং যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে প্রস্তুতি সারিয়েছেন দলকে। তাই সমর্থকরা বলছেন, আগে তাঁবু এসে দেখে যান, সব কিংবদন্তিদের ফটো দেখুন, আগে ইতিহাস জেনে তারপর উৎসর্গ করবেন প্রাক্তনদের। ক্লাবের অন্দরে ফিসফাস চলছে, সচিব সৃঞ্জয় বসু এইগুলির বিরোধিতা করেছেন বলেই তিনি একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি দেবাশিসের সঙ্গে সম্পর্কও ঠিক চলছিল না। এটিকে-র কর্পোরেট দৃষ্টিভঙ্গী সচিব মানিয়ে নিতে পারেননি বলেই তিনি সরে গিয়ে রেহাই খুঁজেছেন।