শেষ আপডেট: 2nd January 2024 20:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইআইটি-বিএইচইউ (বারাণসী) ক্যাম্পাসে গণধর্ষণ কাণ্ডে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর চুপ থাকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।
মঙ্গলবার এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক থেকে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র শশী পাঁজার অভিযোগ, “নারী ও ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। অপরাধীরা যখন বিজেপির নিজেদেরই লোক হয়, তখন অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করা হয়। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এখন নীরব কেন? এখন কেন তিনি টুইট করছেন না? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে?”
ঘটনার সূত্রপাত, গত ২ নভেম্বর বারাণসীর আইআইটি-বিএইচইউ ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ৫ নভেম্বর অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইআইটির পড়ুয়ারা। ঘটনার প্রতিবাদে পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামে। তারপরই প্রায় ২ মাসের ব্যবধানে সম্প্রতি তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশের পুলিশ।
শশীর প্রশ্ন, “অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার পরও তাদের গ্রেফতার করতে এত সময় লাগল কেন?"
খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন তিনি। শশীর কথায়, “তিন অভিযুক্ত কুণাল পান্ডে, সাক্ষম প্যাটেল এবং আনন্দ ওরফে অভিষেক চৌহ্বান বিজেপির আইটি সেলের সদস্য। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতেও দেখা গেছে তাদের। যা থেকে স্পষ্ট, এদের গ্রেফতার করতে পুলিশের কেন এত সময় লাগল।”
তৃণমূলের দাবি, ধৃতদের মধ্যে কুণাল পাণ্ডে, ফেসবুক পেজে নিজেকে বিজেপি আইটি সেলের কনভেনর হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। পাণ্ডে সুন্দরপুর এলাকার বারাণসীর ব্রিজ এনক্লেভের স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর মদন মোহন তিওয়ারির জামাতাও। দ্বিতীয় অভিযুক্ত সক্ষম প্যাটেল তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল অনুসারে বিজেপি বারাণসী সিটি ইউনিটের আইটি সেলের সহ কনভেনর, তৃতীয় অভিযুক্ত আনন্দ চৌহান একই ইউনিটের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য।
শশী পাঁজার সাংবাদিক বৈঠকের বিষয়ে গেরুয়া শিবিরের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টিকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল সহ বিরোধীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।