মহিলার রিপোর্টে কুকুরের জিন
শেষ আপডেট: 19 March 2024 12:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এ যেন সুকুমার রায়ের 'হাঁসজারু' কিংবা 'বকচ্ছপের' আধুনিক মূর্তি। কিন্তু, সেটা ছিল কল্পকবিতা। আর এবার যেটা ঘটল, সে তো আস্ত গবেষণাগারের ফলাফল! এক মহিলার ডিএনএ পরীক্ষায় মিলল ল্যাব্রাডর কুকুরের ২৫ শতাংশ জিন। চোখ উলটে এলেও এরকমই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার মতো আকাশকুসুম তথ্যকে মেলে ধরেছে একটি পোষ্যদের ডিএনএ পরীক্ষার গবেষণা সংস্থা।
রিপোর্টার ক্রিস্টিনা হ্যাগার টরন্টোর একটি পশুদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা সংস্থাকে তাঁর ডিএনএ নমুনা পাঠিয়েছিলেন রিপোর্টের জন্য। ডব্লুবিজেড নিউজের ওই সাংবাদিক হ্যাগারের নমুনা পরীক্ষা করে ওই সংস্থা রিপোর্ট দিয়েছে, তাঁর মধ্যে ৪০ শতাংশ আলাস্কান ম্যালামিউট, ৩৫ শতাংশ শার-পেই এবং ২৫ শতাংশ ল্যাব্রাডরের জিন রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ হতেই ওই সংস্থা নেট দুনিয়ার বিষনজরে পড়েছে।
সাংবাদিক হ্যাগার বিভিন্ন সংস্থার কাছে তাঁর গলার কাছ থেকে সংগৃহীত লালা পাঠিয়েছিলেন পরীক্ষার জন্য। এই সব সংস্থাই পোষ্য কুকুরের জিন পরীক্ষা করার কাজ করে। এর মধ্যে ডিএনএ মাই ডগ নামে একটি সংস্থার রিপোর্টে মানুষের লালার নমুনা পরীক্ষা করে হ্যাগারকে কুকুর বলে প্রতিপন্ন করেছে।
মেলবোর্ন, ফ্লোরিডা এবং ওয়াশিংটনের কোনও কোম্পানিই এর মধ্যে পশু বা কুকুরের জিন খুঁজে না পেলেও এই সংস্থাটির রিপোর্টে এসব উল্লেখ করা হয়। এক জিনতত্ত্ব বিশারদ বলেন, গ্রাহকদের জায়গায় দাঁড়িয়ে এটা বিরাট ব্যর্থতা হলেও এক্ষেত্রে কোনও আইন নেই, যা দিয়ে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যেতে পারে। যদিও শেয়ার বাজারের খবর অনুযায়ী, এই ব্যবসায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৭২৩ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, হ্যাগার সাংবাদিক হিসেবে এই অনুসন্ধানী রিপোর্টে নামেন আরেকটি খবর দেখে। যেখানে এক কুকুর মালিক ডিএনএ মাই ডগ সংস্থার কাছে নিজের লালা নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেবারেও ওই সংস্থা তাঁর জিনে ৪০ শতাংশ বর্ডার কোলি, ৩২ শতাংশ কেন করসো এবং ২৮ শতাংশ বুলডগের জিন আছে বলে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল।