শেষ আপডেট: 17 March 2024 16:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শাহজাহানের ভাই আলমগির সহ দু'জনের পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। দাদা শেখ শাহজাহানের পর এবার জেলে ভাই আলমগিরও।
কার নির্দেশে ইডির উপর হামলা হয়েছিল? শেখ শাহজাহানকে গা ঢাকা দিতে কারা মদত দিয়েছিল? আলমগির-সহ দু'জনকে জেরা করে সেই সমস্ত তথ্য জানবেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। রবিবার আদালতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার দিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন আলমগির। গোটা ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র তুলে ধরেছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
শনিবার রাতে শাহজাহানের ভাই সহ দু'জনকে নিজাম প্যালেস থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিন সকালেই সিবিআইয়ের তলবে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন আলমগির এবং শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তিন জন। টানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে তিনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে শেখ শাজাহানের ভাই শেখ আলমগির, তৃণমূল নেতা মাফুজার মোল্লা এবং সিরাজুল মোল্লাকে তোলা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭ টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছিল। বসিরহাট মহকুমা আদালত ৫ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে শাহজাহান ৫৫ দিন নিঁখোজ থাকার সময়ে তাঁকে সাহায্য করেছিল আলমগির। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনাতেও যুক্ত ছিলেন শাহজাহানের ভাই। সেই সূত্র ধরে আলমগিরকে একাধিকবার তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। এরপর শনিবার হাজিরার পর আলমগির সহ বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিবিআই।
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিআইডির থেকে সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মেল্লা, দিদারবক্স মোল্লা এবং ফারুক আকুঞ্জিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গত ১১ মার্চ তাঁদেরকেও নিজাম প্যালেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
গত কয়েকদিনে সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডির উপর হামলার ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। দফায় দফায় সন্দেশখালিতে গিয়ে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। শনিবারও সিবিআইয়ের একটি দল সন্দেশখালিতে যায় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এদিন সমান্তরালভাবে নিজাম প্যালেমে চলে আলমগির সহ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার দিন আলমগিরের উপস্থিতি এবং ঘটনায় মদত দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন জায়গায় ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে সেই তথ্য মিলেছে। একইসঙ্গে শাহজাহান মোবাইলে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তাও জানতে পেরেছে সিবিআই অফিসাররা। এই সমস্ত প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি আলমগির। শেষ পর্যন্ত রাতে গ্রেফতার হলেন শাহজাহানের ভাই আলমগির।