শেষ আপডেট: 23rd April 2024 19:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের প্যানেলে যাঁরা যোগ্য বলে নির্বাচিত হয়েছিলেন, হাইকোর্টের রায়ে তাঁদেরও চাকরি গেছে। মঙ্গলবার থেকে ধর্মতলায় তাঁরাও ধর্নায় বসার সলতে পাকাতে শুরু করেছেন।
এদিন সেই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “১৭ রকমের দুর্নীতি হয়েছে। তাই মুড়ি-মিছরি আলাদা করা যায়নি”। তাঁর মতে, এই কারণেই ২০১৬-র প্যানেলে থাকা যোগ্য-অযোগ্য সব চাকুরেদেরই চাকরি গেছে।
কিন্তু অভিজিতের এই যুক্তিতে তীব্র আপত্তি রয়েছে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। ববি এদিন দ্য ওয়ালকে বলেন, “আমার একটাই প্রশ্ন, এই ২৬ হাজার জনই দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন? এই হলফনামা কে দিয়েছে? আমাদের আইনে রয়েছে, একশ জন অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু এক জন নিরপরাধও যেন শাস্তি না পায়।” পুরমন্ত্রী আরও বলেন, “যাঁরা সত্যি সত্যি চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সংখ্যা খুঁজে বের করা যেতে পারত। ওএমআর শিট আবার স্ক্যান করে দেখা যেত, কারা পাশ করেছেন, কারা পাশ করেননি। সিবিআই তদন্ত করুক। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি বাতিল করা হল—এটা হঠকারী সিদ্ধান্ত”।
প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখনও তাঁর অবস্থানে অনড়। যোগ্যদের চাকরি যাওয়ার ব্যাপারে এদিন তেমন কোনও অনুতাপ তিনি দেখাননি। তাঁর আক্রমণের সূচিমুখ ছিল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। তিনি এও বলেন, যাঁরা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে তাঁদের ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দিতাম। তা ছাড়া অভিজিৎ বলেন, "মমতা ব্যানার্জি মমতা ব্যানার্জির ভাইপোকে কোমরে দড়ি দিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় নিয়ে আসুন এবং তাদের যে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে রাজ্য থেকে শোষণ করা, সেই সব সম্পত্তিগুলো থেকে টাকা নিয়ে যেখানে যা দেওয়ার তার ব্যবস্থা করুন।"
পাল্টা ববি এদিন বলেন, “এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। একজন বিচারপতি ইস্তফা দিয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়ে গেলেন। আদালত রায় ঘোষণার আগে বিরোধী দলনেতা বলছেন বোমা ফাটবে, এটা ষড়যন্ত্র নয়তো কী! বিচার ব্যবস্থা কোথায় যাচ্ছে? ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল, ভাবা যায়? আশা করছি সুপ্রিম কোর্টে এর বিহিত হবে”।