শেষ আপডেট: 30th April 2023 18:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অশান্তির সম্ভাবনা ছিলই। সতর্ক ছিল পুলিশও। কিন্তু তা সত্ত্বেও মে দিবসে অশান্তি এড়ান গেল না। মে দিবসের মিছিল থেকে কালো পোশাক পরা, কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা একদল যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ল পুলিশের ওপরে। তারপর মারদাঙ্গা, ভাঙচুর করে, আগুন লাগিয়ে অচল করে দিলো প্যারিস শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গত কয়েক মাস ধরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ-র বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ফ্রান্স জুড়ে। মাকরঁ প্রস্তাব করেছেন, শ্রম আইন শিথিল করা হোক। তবে শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তাঁর প্রস্তাবের কথা শুনে অনেকে ভাবছেন, প্রেসিডেন্ট শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নিতে চান। এই অসন্তোষের সুযোগে মাথা চাড়া দিয়েছে ব্ল্যাক ব্লক নামে এক অতি বামপন্থী সংগঠন। তারাই মে দিবসে শহরে হাঙ্গামা করেছিল। অন্যান্য বছরের মে দিবসের মতো এবারেও প্যারিসে ছাত্র ও শ্রমিকদের মিছিল বেরয়। সেই মিছিল যখন শেন নদীর কাছে তখন আচমকা কালো পোশাক পড়া বিক্ষোভকারীরা শুরু করে অশান্তি। তাদের স্লোগান ছিল, সকলেই পুলিশকে ঘৃণা করে। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় ছিল ১২০০। শহরের অফিসপাড়া ছিল তাদের আক্রমণের লক্ষ। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক, রিয়েল এস্টেটের অফিস ও গাড়ির শো রুমে তারা হামলা করে। ওস্টার্লিটজ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ম্যাকডোনাল্ডের একটি শো রুমে আগুন লাগানো হয়। পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস দিয়ে তাদের মোকাবিলা করে। ২০০ বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়। চার পুলিশকর্মীও আহত হন। এখন থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৬৮ সালে ছাত্রবিদ্রোহে কেঁপে উঠেছিল ফ্রান্স। শ্রমিকদের একাংশও ছিল ছাত্রদের সঙ্গে। এমনকী একসময় মনে হয়েছিল, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দ্য গলকে হয়তো যদি ছাড়তে হবে। প্যারিসে এবারের মে দিবসের সঙ্গে সেই ১৯৬৮-র বিদ্রোহের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে।