
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০১৭ সালে মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচে তিনি ছিলেন। শুধু ছিলেন না, লর্ডসের ওই ম্যাচে খেলা শুরুর আগে বেল বাজিয়ে খেলা শুরুর সংকেত দিয়েছিলেন অ্যাশ এইলিন।
যে বয়সে বেঁচে থাকাই চ্যালেঞ্জের, এমনকি বেঁচে থাকলেও ঠিকানা হতে পারে বিছানা কিংবা ইজিচেয়ার, সেখানে মাঠে এসে খেলা দেখেছিলেন এইলিন। তাঁর জীবনদীপ নিভে গেল শনিবার ইংল্যান্ডেই। চলে গেলেন ১১০ বছর বয়সে।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রবীন টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে জীবিত ছিলেন তিনি। কিন্তু এই কিংবদন্তি মহিলা ক্রিকেটার ইতিহাস হয়ে থেকে যাবেন আজীবনকাল।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এইলিন অ্যাশের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। শেষ বিদায়ে তারা অ্যাশকে সম্মান জানিয়ে বলেছে, ‘‘তিনি এমন একজন অসাধারণ মহিলা ছিলেন, যিনি অসাধারণ একটি জীবনযাপন করেছেন। আমাদের গর্বিত করে গিয়েছেন।’’
ডান হাতি পেসার ছিলেন এইলিন। ১৯৩৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কেরিয়ারের সূচনা হয় এইলিন অ্যাশের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং পরে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে ৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন অ্যাশ। নিয়েছেন ১০টি উইকেট। অবসর নিয়েছেন তিনি ১৯৪৯ সালে।
শুধু একজন ক্রিকেটার নন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দাবাহিনী ইউকে সিক্রেট ইন্টেলিজেন্সের এম সিক্সটিনে কাজ করেছেন এইলিন। এছাড়া ৯৮ বছর বয়স পর্যন্ত খেলেছেন গলফ। তিনি হয়ে উঠেছিলেন ব্রিটিশ মহিলা ক্রিকেটের মুখও। সব থেকে বড় বিষয়, বেঁচে ছিলেন মহারানির মতোই। যোগা ছিল তাঁর অভ্যাস, ভাল নাচও করতেন। এমনকি মহিলা ক্রিকেট নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বলে যেতে পারতেন এইলিন। সেই বলাও থেমে গেল সারাজীবনের মতোই।