শেষ আপডেট: 7th March 2025 22:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ভাইকে চণ্ডীগড় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ভাই বিনোদ সেহওয়াগকে মানিমাজরা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, চেক বাউন্সের একটি ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বিনোদ সেহওয়াগকে ইতিমধ্যে আদালতে পেশ করা হয়েছে। কিন্তু, তিনি জামিনের আবেদন করেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ বিনোদ সেহওয়াগের জামিন আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ততদিন পুলিশ হেফাজতে বিনোদকে থাকতে হবে।
জানা গিয়েছে, টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগের ভাই বিনোদ সেহওয়াগের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড় জেলা আদালতে ৭ কোটি টাকা চেক বাউন্সের একটি মামলা চলছে। বদ্দিতে অবস্থিত শ্রী নয়না প্লাস্টিক সংস্থার পক্ষ থেকে এই মামলা করা হয়েছে। দিল্লিতে অবস্থিত জাল্টা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সংস্থা এবং ওই সংস্থার ৩ ডিরেক্টর বিনোদ সেহওয়াগ, বিষ্ণু মিত্তল, সুধীর মলহোত্রার বিরুদ্ধে করা হয়েছে।
শ্রী নয়না প্লাস্টিক কোম্পানির আইনজীবী বিকাশ সাগর জানিয়েছিল, জাল্টা কোম্পানির পক্ষ থেকে কিছু কাঁচামাল সরবরাহ করার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। এই কাঁচামালের দাম আনুমানিক ৭ কোটি টাকা। এরপর ২০১৮ সালের জুন মাসে জাল্টা কোম্পানি এক কোটি টাকা করে সাতটি চেক অভিযোগকারী সংস্থাকে দিয়েছিল। কিন্তু, চেকগুলো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার পর জানা যায় যে জাল্টা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই নেই। সেকারণে চেক বাউন্স হয়ে যায়।
শ্রী নয়না প্লাস্টিক কোম্পানির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে জাল্টা কোম্পানিকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তারপর ২ মাস কেটে গেলেও সেই চেক ক্লিয়ার করা হয়নি। এরপর জাল্টা কোম্পানি এবং তিনজন ডিরেক্টরকে নোটিস পাঠানো হয়। ১৫ দিনের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলা হয়। লিগাল নোটিশ হাতে পাওয়ার পরও জাল্টা কোম্পানি কোনও টাকা দেয়নি। এরপর চেক বাউন্সের কেস ফাইল করা হয়।
প্রথমে তো নিম্ন আদালতে বিনোদ সেহওয়াগ সহ তিনজন অভিযুক্তকে হাজির হওয়ার জন্য শমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, কেউই আদালতে হাজিরা দেননি। এরপর আদালতের পক্ষ থেকে প্রথমে জামিন যোগ্য এবং পরবর্তীকালে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এই তিনজনের কেউই আদালতে উপস্থিত হননি। এরপর আদালত তাঁদের পলাতক ঘোষণা (পিও প্রসিডিং) করার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। অবশেষে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই বিনোদ সেহওয়াগ আদালতে হাজির হন। ২ লাখ টাকার গ্যারান্টি দিয়ে তিনি জামিন নিয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে শমন অর্ডারকে তিনি সেনশাস কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন।