রোহিত শর্মা
শেষ আপডেট: 8 May 2025 13:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চেয়ার একটি। ক্যান্ডিডেট চার জন। কে পাবেন কুর্সির দখল, সেটা বোঝা যাবে সম্ভবত আগামী সপ্তাহে।
আইপিএলের ক্লাইম্যাক্স-পর্বে, যেখানে সবার ধ্যানজ্ঞান হওয়া উচিত প্লে-অফের লড়াই, সেখানে আচমকাই একা হাতে সমস্ত শোরগোল, গুঞ্জন নিজের দিকে টেনে এনেছেন রোহিত শর্মা। কেন অবসর নিলেন—এই প্রশ্নের বদলে উঠতে শুরু করেছে কেন ‘এখনই’ টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন রোহিত?
গতকাল ভরসন্ধেবেলা পরপর দুটো খবর ‘ব্রেকিং’ হয়। প্রথমে জানা যায়, নির্বাচকরা নাকি আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে দলেই রাখতে চাইছেন না রোহিতকে। এর কিছুক্ষণ বাদে ইনস্টাগ্রামে নিজেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের খবর ঘোষণা করেন রোহিত। বিদায়ী বার্তায় লেখেন, ‘আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। সাদা জার্সিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা ভীষণ গর্বের অনুভূতি। সবাইকে এত বছর ধরে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ। আমি ওয়ান ডে ক্রিকেটে দেশের হয়ে আগামী দিনে খেলা চালিয়ে যাব।‘
আপাত-নির্বিষ বয়ান। এই নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু গতকালের পরপর দুটো ঘটনার মধ্যে সন্দেহজনক যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন জাতীয় দলের নির্বাচকমণ্ডলীর এক প্রাক্তন সদস্য। প্রশ্ন তুলেছেন: যদি রোহিতের অবসরের সবকিছু ঠিক ছিল, তাহলে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার খবর একই দিনে সামনে এল কেন? বিসিসিআইয়ের ওই কর্তা নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলেও রোহিতকে বহু বছর ধরে খুব কাছ থেকে চেনেন।
উল্লেখ্য, প্রশ্নটা অসঙ্গত নয়। আগামী ইংল্যান্ড ট্যুরে রোহিত যাবেন কি যাবেন না, গেলেও অধিনায়ক থাকবেন কি থাকবেন না—এই নিয়ে ইতিপূর্বে কোনও কিছু সাফ সাফ জানায়নি বোর্ড। যদিও রোহিত প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, নিজের কেরিয়ারের যাবতীয় সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নেবেন।
যদিও রোহিত-ঘনিষ্ঠ আরেক সূত্রের দাবি, অবসর ঘোষণা আচমকা হলেও, বিদায়ী ক্রিকেটার নাকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। শুধু প্রকাশ্যে জানানোটাই বাকি ছিল। আইপিএল চলাকালীন মে মাসের শুরুতে টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানানোর কারণ, সদ্য শুরু হতে চলা ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ক্যালেন্ডার। যেখানে ভারত তাদের জার্নি শুরু করছে ইংল্যান্ড সফর থেকে। নতুন বৃত্ত রচনা শুরুর আগে নিজের কেরিয়ারের বৃত্তপূরণ করতে চেয়েছেন রোহিত। এই নিয়ে অযথা জলঘোলা করার প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ‘হিটম্যানে’র নেতৃত্বাধীন ভারত ধরাশায়ী হলেও তাঁর অধিনায়ক কেরিয়ারের সবচাইতে উজ্জ্বল পর্ব টিমকে ২০২৩ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিয়ে যাওয়া। চূড়ান্ত লড়াইয়ে ভারতে অস্ট্রেলিয়ার হাতে পরাস্ত হলেও রোহিতের অধিনায়কত্ব প্রশংসিত হয়।