শেষ আপডেট: 14th February 2025 16:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় একটি প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে। সাহসীদের পাশে সবসময় ঈশ্বর থাকেন। একথা অনস্বীকার্য, যাঁরা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হন, তাঁরা একদিন না একদিন নিজেদের কঠোর পরিশ্রমে ইতিহাস কায়েম করেন। এমনই এক ইতিহাসের অধ্যায় লিখলেন তামিলনাড়ুর বিথ্যা রামরাজ। জাতীয় গেমসে সোনার পদক জিতে তিনি এক নতুন নজির কায়েম করেছেন। মাত্র ৫৮.১১ সেকেন্ডে তিনি ৪০০ মিটারের দৌড় অতিক্রম করেন এবং সোনার পদক জিতে নেন।
বিথ্যার বাবা পেশায় একজন অটোচালক। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রতা ছিল তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু, এই আর্থিক অনটনের চাপে কখনই বিথ্য়া নিজের স্বপ্নকে মেরে ফেলেননি। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা এই ২৬ বছরের বিথ্যা রামরাজকে একাধিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে আসতে হয়েছে।
অটো চালক বাবার সেই টাকার জোর ছিল না যে মেয়ের জন্য স্পোর্টস কিট কিনে দিতে পারেন। কিন্তু, যাবতীয় সঞ্চয় উজাড় করে তিনি বিথ্যার স্বপ্নপূরণের পথ প্রশস্থ করেছিলেন। বলা ভাল, করার চেষ্টা করেছিলেন। শেষপর্যন্ত সোনা জয় করে সেই কষ্টের প্রতিদান দিলেন বিথ্যা।
বিথ্যার কথায়, আমাদের পরিবারে আর্থিক অবস্থা কোনওদিনই ভাল ছিল না। আয়ের একমাত্র উৎস ছিল বাবার ওই অটো। অটো চালানোর টাকাতেই আমাদের সংসার চলত। তবে আমার বাবা সবসময় বিশ্বাস করত যে একদিন না একদিন আমি এই পরিবারের নাম উজ্জ্বল করব। সঙ্গে তিনি আরও যোগ করলেন, 'ছোটবেলা থেকেই আমার হাতে কোনওদিন পয়সা থাকত না। আমাকে স্পোর্টস কিট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে দেওয়ার জন্য বাবাকে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে। আজ আমার গলায় যে সোনার পদক ঝুলছে, সেটা যে বাবার ওই কঠিন লড়াইয়ের জন্য সম্ভব হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।'