শেষ আপডেট: 3rd February 2025 19:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তাঁর জমানা গ্রেগ চ্যাপেলের মতো তরঙ্গবিক্ষুব্ধ নয়। বরং, অনেক শান্ত, অনেক বিতর্কহীন। তবু কোচ জন রাইটের আমলে ‘মেন ইন ব্লু’য়ের সংসারে যে ঝুটঝামেলা একেবারেই ছিল না, তা মানতে নারাজ বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্ল। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে তিনি জানান, কীভাবে জন রাইট রাগ সামলাতে না পেরে বীরেন্দ্র সেহওয়াগের কলার টেনে ধরেছিলেন। যার জেরে অপমানিত ওপেনার কান্নাকাটির উপক্রম পর্যন্ত করেছিলেন। এককাট্টা হয়ে রাইটের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়েছিল গোটা ড্রেসিংরুম। শচিন তেন্ডুলকর হস্তক্ষেপ না করলে সেদিন পরিস্থিতি অন্য রকম হতেই পারত!
বিতর্কের সময়কাল ২০০৪ সাল। সেই সময় ইংল্যান্ড সফরে যায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। সিরিজের একটি টেস্টে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হন সেহওয়াগ। তখনই ড্রেসিংরুমে ফেরার পর তাঁর কলার চেপে ধরেন রাইট। রাগে রীতিমতো ফুঁসছিলেন কিউয়ি কোচ। রাইটের রুদ্রমূর্তি দেখে কাঁদোকাঁদো হয়ে পড়েন সেহওয়াগ।
সেদিনের কথা মনে করতে গিয়ে রাজীব বলেন, ‘ওই ঘটনার পর দলের সবাই বেঁকে বসেন। দাবি করতে থাকেন, রাইটকে সেহওয়াগের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁদের হল্লা শুনে আমি কোচের রুমে যাই। গিয়ে সমস্ত কথা খুলে বলি। কিন্তু আমার বক্তব্য শুনে রাইট জানান, তিনি কোনওভাবে ক্ষমা চাইবেন না। তার কারণ, সেহওয়াগকে তিনি যা কিছু বলেছেন, সবই শিষ্য মনে করে, সন্তানস্নেহে। সেই ইনিংসে রাইট চেয়েছিলেন, সেহওয়াগ সেঞ্চুরি করুন। কিন্তু যেভাবে অগোছালো শট খেলে তিনি উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন, তা দেখে রাইট মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। যে কাজ করেছেন, তার মধ্যে সততা ছিল। আর সেহওয়াগও তা বুঝেছেন। ফলে তিনি মোটেও অনুতপ্ত নন।‘
রাইটের এই জবাব শুনে রাজীব কিছু বলতে পারেননি। পড়েন মহা ফাঁপরে। এদিকে ক্রিকেটারেরাও তাঁদের জায়গায় অনড়। এই পরিস্থিতিতে ত্রাতার ভূমিকা নেন শচিন। ড্রেসিংরুমের এক কোণে রাজীবকে নিয়ে গিয়ে তিনি জানান, রাইটকে ক্ষমা চাইতে বলা ঠিক হবে না। কারণ, কোচ ক্ষমা চাইলে দলের উপর কর্তৃত্ব হারাবেন। মান্যতা বলে রাইটের আর কিছু থাকবে না।
শচিনের কথা শুনে দল শান্ত হয়। পরে সেহওয়াগ নিজে যেচে জানান, রাইটের ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই।