খুদে ভক্তের সঙ্গে কোহলি
শেষ আপডেট: 29th January 2025 13:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০০৬ সাল। গুরু গ্রেগের সঙ্গে অশান্তির জেরে টিম থেকে বাদ পড়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রত্যাবর্তনের একের পর এক রাস্তা ক্রমশ বন্ধ হচ্ছে। তবু হাল ছাড়তে নারাজ মহারাজ। প্রস্তুতি নিচ্ছেন রঞ্জিতে নামার। লক্ষ্য একটাই: জাতীয় দলে ফিরে আসতে হবে। যে কোনও মূল্যে, যে কোনও উপায়ে। ফাঁকা স্টেডিয়ামে নাগাড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অনুশীলন। সেই সময় আচমকাই একটি বিজ্ঞাপনে দেখা গেছিল সৌরভকে। যেখানে তিনি আবেগঘন, নাটকীয় ভঙ্গিতে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন: ‘আপনারা আপনাদের দাদাকে ভুলে যাননি তো?’
কাট টু। ২০২৫ সাল। পরিস্থিতি হুবহু এক নয়। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আরেক নায়ক সুযোগ খুঁজছেন ফিরে আসার। মঞ্চ একটাই—রঞ্জি টুর্নামেন্ট। যেখানে একইভাবে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন বিরাট ‘কিং’ কোহলি। নেমে এসেছেন সাধারণের নাগালে। গতপরশু দলের আনকোরা নতুন ক্রিকেটারদের সঙ্গে মেতে উঠেছিলেন ফুটবল খেলায়। আর গতকাল এক খুদে ভক্তের সরল প্রশ্নের জবাবে যে উত্তরটি দিলেন তিনি, তার প্রতিটি বাক্যে শোনা গেল একজন লড়াকু সৈনিকের নিজেকে প্রস্তুত করার জেদ আর অটুট অধ্যবসায়।
প্রশ্নটা ছিল খুবই সহজ: ‘ভারতের ক্রিকেটার হতে গেলে কী কী করতে হয়?’ অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সাতসকালের প্র্যাকটিসে হাজির কোহলির এক বন্ধুর ছেলের মুখে এমন জিজ্ঞসা শুনে হেসে ওঠেন বিরাট। তারপর তিনি যা বলেন তার সারমর্ম হচ্ছে:
‘প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হবে। আর তুমি যখন ট্রেনিং করতে যাবে তার আগে তোমার যেন বাবাকে কিছু বলতে না হয়। রোজ সকালে তাড়াতড়ি উঠবে এবং নিজেকে বলবে: আজ আমায় প্র্যাকটিসে যেতেই হবে। সেখানে কেউ এক ঘণ্টা খাটলে, তোমায় ঘাম ঝরাতে হবে দু’ঘণ্টা। এটাই জাতীয় দলের হয়ে খেলার একমাত্র রাস্তা।
কেউ পঞ্চাশ হাঁকালে তোমায় সেঞ্চুরি করতে হবে। কেউ সেঞ্চুরি করলে, তোমার ব্যাট থেকে বেরোবে ডবল হান্ড্রেড। অর্থাৎ, বেঞ্চমার্ক যেন সবসময় দ্বিগুণ হয়। যদি তোমায় প্রতিদিন প্রস্তুতির কথা মনে করাতে হয়, সেটা মোটেও ঠিক ব্যাপার নয়।‘
such a heartwarming and inspiring little conversation ???????? pic.twitter.com/YZQD2JuU1h
— ????. ???? (@ssnoozefest) January 28, 2025
উল্লেখ্য, ঘরোয়া ময়দানে ১৩ বছর পর নামতে চলেছেন বিরাট। আগামিকাল রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে দিল্লির। সেখানেই দেখা যাবে কোহলিকে।