শেষ আপডেট: 30th January 2025 13:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিলি চিকেন নয়। ছোলে-ভাটুরেও নয়। বিরাট কোহলি আজ রঞ্জি ম্যাচের লাঞ্চ সারবেন চিলি পনির দিয়ে। তাও একা একা নয়। পুরো টিমের সঙ্গে। এমনটাই জানিয়েছেন শেফ সঞ্জয় ঝা। যিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কোহলির খাদ্যরুচির সঙ্গে পরিচিত।
রেলওয়েজের বিরুদ্ধে দিল্লির আপাত নিষ্প্রাণ ম্যাচে একা হাতে প্রাণ সঞ্চার করেছেন বিরাট। সাতসকালে মেট্রোর গেট থেকে বেরিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন কাতারে কাতারে মানুষ। দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের অব্যবস্থা ও ভক্তদের উন্মাদনার জেরে দেখা দিয়েছে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেক দর্শক সহ কয়েক জন নিরাপত্তাকর্মী। সরাসরি সম্প্রচারের ঘোষণা আগেই করেছিল জিও। তবু বিনা টিকিটে স্রেফ আধার কার্ড দেখিয়ে বিরাটকে সামনে থেকে খেলতে দেখার সুযোগ হারাতে চাননি অনেকে। মাঠে ঢুকে কোহলিকে প্রণামও করেছেন এক অনুমগামী। সবমিলিয়ে রঞ্জির রসকষহীন ম্যাচ হেভিওয়েট দ্বৈরথের চেহারা নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লির ড্রেসিংরুমের ছবি তুলে ধরেছেন শেফ সঞ্জয়। তিনি বলেন, আজ সকালে মাঠে নামার আগে কাড়ি-চাউল দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারেন কোহলি। তাঁকে তাঁর পছন্দের ছোলে-ভাটুরের অপশন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
সঞ্জয় জানান, ’২৫ বছর ধরে আমি ক্যান্টিন চালাই। আর বিরাটকে তো আমি ওর ছেলেবেলা থেকেই চিনি। আমাদের ক্যান্টিনে ও নিয়মিত খেত। কিন্তু কোনওদিন কোনও ঔদ্ধত্য দেখিনি। বিরাট এখনও একই রকম বিনয়ী। আর পাঁচজনের মতো আমার ও আমার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে।‘
২০১৮ সাল থেকে কোহলি পুরোপুরি নিরামিষাশি হয়ে যান। ২০২১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ডায়েট নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘আজকাল আমি প্রচুর শাকসব্জি, কয়েকটা ডিম, দু’কাপ কফি, অনেকটা পালং খাই। দোসাও ভালো লাগে। তবে তা খাই মেপেজুপে।‘
সঞ্জয়ও বিরাটের খাবারের এই বদল নিয়ে একমত। তিনি জানান, আগে চিলি চিকেন কোহলির প্রিয় ডিশ ছিল। শুধু নিজেই খেতেন এমন নয়, বাকিদেরও খেতে বলতেন। আজ বাইরে থেকে কিনে আনার অপশন দেওয়া হলে সটান না বলে দেন বিরাট। জানান, ক্যান্টিনের খাবারই লাঞ্চে চেখে দেখবেন তিনি। খাবেন চিলি পনির, সদলবলে।