শেষ আপডেট: 27th January 2025 23:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো : টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্য গত কয়েকটা মাস ভাল কাটছে না। কঠিন ব্যাধিতে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেকারণে বেশ কয়েকটা দিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। তবে আপাতত তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। একথা কারোর কাছেই অজানা নয় যে একটা সময় কাম্বলি কার্যত নেশায় ডুবে গিয়েছিলেন। সেকারণে প্রথম স্ত্রী তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। সম্প্রতি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আন্দ্রেয়া একটি ইন্টারভিউয়ে জানিয়েছেন, তিনিও বিনোদ কাম্বলিকে ডিভোর্স দিতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু, ভারতীয় ক্রিকেটারের শারীরিক অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে শেষপর্যন্ত তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেন।
একটি পডকাস্টে আন্দ্রেয়া জানিয়েছেন, 'আমি একবার ওকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু তারপর মনে হল যে আমি যদি ছেড়ে চলে যাই, তাহলে ও একেবারে একা হয়ে পড়বে। ও একেবারে শিশুর মতো। আমি মনে মনে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু, ওর জন্য সবসময় আমার চিন্তা হত। শেষপর্যন্ত একজন বন্ধু হিসেবে আমি ওকে ছাড়তে পারিনি। সত্যি কথা বলতে কী, আমি অনেকবারই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।'
সঙ্গে আন্দ্রেয়া আরও জানিয়েছেন, 'কিন্তু, বাড়ি ছাড়লেও ওর জন্য সবসময়ই আমি চিন্তিত থাকতাম। ও আদৌ খেয়েছে কি না? বিছানায় ঠিক করে শুতে পেরেছে কি না? ওর শারীরিক অবস্থা আদৌ ভাল আছে কি না? এইসব চিন্তাই আমার মাথায় ঘুরপাক খেত। এরপর আমি ওকে দেখতে আসতাম। ক্রমশ বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকে ওর ঠিক কতটা দরকার। গোটা পরিস্থিতি আমি বোঝার চেষ্টা করি। শেষপর্যন্ত বুঝতে পারি যে আমিই এই ঘরের বাবা, আমিই এই পরিবারের মা।'
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বিনোদ কাম্বলির দ্বিতীয় স্ত্রী আন্দ্রিয়া হিউইট একজন মডেল ছিলেন। ফ্যাশন দুনিয়ায় তাঁর যথেষ্ট নামডাকও ছিল। প্রথম স্ত্রী নোয়েলা লিউইয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পরই আন্দ্রিয়া কাম্বলির জীবনে এসেছিলেন। সূত্রের খবর, ২০০০ সালে বিনোদ এবং আন্দ্রিয়া একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। বেশ কয়েকবছর ডেটিংয়ের পর ২০০৬ সালে তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
আন্দ্রেয়ার কথায়, 'আমার ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো সবটা বুঝতে পারে। ও আমাকে একেবারে বিরক্ত করে না। আমার মধ্যে এই পরিবারের প্রতি যে আবেগ রয়েছে, সেটা ও বুঝতে পারে। মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও ও সবসময় চিন্তা করে। ওর অবস্থাটাও আমি বোঝার চেষ্টা করি। পাশাপাশি আমি বিনোদেরও মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খেয়াল রাখি।'