
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বকাপ ফুটবলের (FIFA World Cup) খবর লিখতে কাতারে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় মার্কিন সাংবাদিক গ্র্যান্ট ওয়াহল। সেখানে রামধনু রঙা টিশার্ট পরে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন তিনি। সমকামিতাকে সমর্থন করার ‘অপরাধে’ আটক করা হয়েছিল সাংবাদিককে। জানা গেছে, মৃত্যু হয়েছে সেই সাংবাদিকের। যদিও একে স্বাভাবিক মৃত্যু মানতে নারাজ সাংবাদিকের পরিবার। তাঁর ভাইয়ের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে।
ওয়েলস বনাম আমেরিকা ম্যাচের (FIFA World Cup) দিনই রামধনু টি-শার্ট পরে স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় তাঁকে আটক করে নিরাপত্তারক্ষীরা। গ্রান্ট সিবিএস স্পোর্টসের জন্য কাজ করেন। নিজের কলমও লেখেন। তিনি জানিয়েছিলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আল রাইয়ানের আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। তাঁকে ওই টি-শার্ট খুলে ফেলতেও বলা হয়। তিনি রাজি না হলে আটক করা হয়।
Just now: Security guard refusing to let me into the stadium for USA-Wales. “You have to change your shirt. It’s not allowed.” pic.twitter.com/TvSGThMYq8
— Subscribe to GrantWahl.com (@GrantWahl) November 21, 2022
গ্রান্টের ভাইয়ের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে। রামধনু রঙের টি-শার্ট খোলার জন্য জোরজবরদস্তি করা হয় গ্রান্টকে। আটকও করা হয় তাঁকে। এরপরেই মৃত্যুর খবর আসে তাঁর। পরিবারের দাবি, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
কখনও পোশাকে রামধনু থাকায় সাংবাদিককে আটকে দেওয়া হচ্ছে বিমানবন্দরে কখনও টুপিতে ওই রং থাকায় সমর্থকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না স্টেডিয়ামে। কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তুঙ্গে রামধনু বিতর্ক। শুধু সাধারণ সমর্থকরাই নন, একই ধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছেন বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রাও। হাতে রামধনু বন্ধনী পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৭টি দেশের অধিনায়কদের। রেনবো পতাকা বা রামধনু পতাকা আসলে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষের গর্বের প্রতীক। সে জন্য একে ‘প্রাইড’ পতাকাও বলা হয়। সমকামী নারী ও পুরুষ, উভকামী ও রূপান্তরকামী তথা এলজিবিটিকিউ সমাজের মানুষরদের প্রতীক এই পতাকা। কাতারে সমকামিতা নিষিদ্ধ। সমলিঙ্গের কোনও সম্পর্ককেই স্বীকৃতি দেয় না পশ্চিম এশিয়ার এই দেশ। তাই যে বিষয়টি সমকামী মানুষদের আন্দোলনের প্রতীক, সেটিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশে।
রেফারির মুন্ডপাত, দিয়েগো আশীর্বাদ করছেন স্বর্গ থেকে, বললেন মেসি