ক্যারিয়সের স্মৃতি ফেরালেন মুসলেরা, উরুগুয়েকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স
[caption id="attachment_16825" align="alignleft" width="150"] অরুণাভ কর, নিঝনি নোভোগ্রাদ[/caption]
খেলা শুরুর অনেক আগে থেকেই নিঝনি নোভোগ্রাদ কানায় কানায় ভর্তি। আধিক্য বেশি নীল জার্সিধারী উরুগুয়ের সাপোর্টারদেরই। খেলা শুরুর বাঁশি বাজ
শেষ আপডেট: 6 July 2018 10:39
[caption id="attachment_16825" align="alignleft" width="150"]
অরুণাভ কর, নিঝনি নোভোগ্রাদ[/caption]
খেলা শুরুর অনেক আগে থেকেই নিঝনি নোভোগ্রাদ কানায় কানায় ভর্তি। আধিক্য বেশি নীল জার্সিধারী উরুগুয়ের সাপোর্টারদেরই। খেলা শুরুর বাঁশি বাজার আগেই গোটা স্টেডিয়াম তাকিয়ে দেখল অথর্ব অস্কার তাবারেজকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন ফরাসী কোচ দেশঁ। দুই কোচের আলিঙ্গনে যে উষ্ণতার ছোঁয়ায় খেলা শুরু হলো তা যত গড়াল তত বদলে গেল। মাঝেমধ্যেই নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়ালেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। একবার তো এমব্যাপেকে নিয়ে দুই দলের গণ্ডগোল রিজার্ভ বেঞ্চ অবধি গড়াল। কিন্তু ৯০ মিনিট পর শেষ হাসি হাসল ফ্রান্স। উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে জায়গা করে নিল শেষ চারে।

প্রথম থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক শুরু করে। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই দুটি সুযোগ তৈরি করে উরুগুয়ে। ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে ফ্রান্স। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাস খেলে উঠতে থাকে বিপক্ষ বক্সে। ১৫ মিনিটের মাথায় ফ্রান্সের প্রি কোয়ার্টারের হিরো এমব্যাপে হেডে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। মাঝমাঠ দখল করে নেন কন্তে, পোগবারা। ফলে কাউন্টারের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছিল উরুগুয়েকে। ৪০ মিনিটের মাথায় গ্রিজম্যানের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ভারানে। ৪৩ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে ক্যাসেরাসের হেড দুরন্ত বাঁচান ফ্রান্সের গোলকিপার লরিস।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে উরুগুয়ে। বেশি আক্রমণ করতে থাকে তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দপতন। ৬১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শট নিলেন গ্রিজম্যান। তাঁর নিরীহ শট মুসলেরার হাতে লেগে জড়িয়ে গেল জালে। ফিরিয়ে নিয়ে এল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুল গোলকিপার ক্যারিয়সের স্মৃতি। তারপর অনেক চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি উরুগুয়ে।
পর্তুগালের বিরুদ্ধে যে খেলা সুয়ারেজরা খেলেছিলেন তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না এই ম্যাচে। কাভানি না থাকায় প্রথম থেকেই একা পড়ে যাচ্ছিলেন সুয়ারেজ। যদিও বা প্রথমার্ধে চেষ্টা করলেন দ্বিতীয়ার্ধে গোল খাওয়ার পর যেন কোথায় হারিয়ে গেলেন। শেষের দিকে খুঁজেই পাওয়া গেল না তাঁকে। উরুগুয়ের জার্সিতে ১০২ ম্যাচ খেলে ফেলা মুসলেরার কাছ থেকেও এই গুরুত্বপূর্ন ম্যাচ ওরকম ভুল পালটে দিল খেলার রং। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে যে আক্রমণাত্মক খেলা ফ্রান্স খেলেছিল সেখান থেকে সরে এসে ট্যাকটিক্যাল ফুটবল দেখা গেল এই ম্যাচে। অভিজ্ঞ তাবারেজকে নিজের পরিকল্পনাতেই মাত করলেন দেশঁ।
এই জয়ের ফলে ২০০৬ সালের পর ফের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছাল ফ্রান্স। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ হবে ব্রাজিল বনাম বেলজিয়াম ম্যাচের জয়ী দল। অন্যদিকে ২০১০ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফেরাতে পারল না উরুগুয়ে। ছিটকে গেল বিশ্বকাপের দৌড় থেকে।