অরিন্দম মুখোপাধ্যায়
ইজিপ্ট ডিফেন্সের কাছে প্রায় আটকে যেতে বসেছিল দল। ৮৯ মিনিটে সেট পিস থেকে হেডে হিমেনেজের গোল। গোটা উরুগুয়ে ডাগ আউটে উচ্ছ্বাস। সবাই লাফিয়ে পড়ছে একে, অপরের গায়ে। ১৯৭০ র পর গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে তারা আবার জয় পেয়েছে। সিন্দুকে উঠে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট। প্লেয়ারদের সাথেই তাই উল্লাসে মেতেছেন কোচিং এবং সাপোর্টিং স্টাফরা।
সবাই যখন ছুটে গোলদাতার কাছে মাঠে চলে যাচ্ছেন তখন ডাগ আউটের সামনেই ক্রাচ হাতে লাফিয়ে উঠলেন এক একাত্তর বয়সী 'তরুণ'। যাঁর হাত ধরে চতুর্থ বারের জন্য সরাসরি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে দেশ। পেয়েছে ২০১১-র কোপা আমেরিকা। ২০১০- এর বিশ্বকাপে দখল করে নিয়েছে চতুর্থ স্থান। তবুও যেন একটুও ভাটা পড়েনি একাত্তরের সেই তরুণের প্রাণশক্তিতে। প্রথম দু'বার সেই বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশকে আবার সাফল্যের এক আলাদা স্বাদ দিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন যে মানুষটা, সে আজও এতটা বয়স পেরিয়ে এসেও সমানভাবে জেতার জন্য আকুল। তাই তো শেষ মিনিটের গোলের পরেই একটা ছোট্ট ছেলের মতো হাতে ক্রাচ নিয়েও লাফিয়ে ওঠেন তিনি। মেতে ওঠেন আনন্দে। শরীর বয়স বেড়ে গেলেও মনটা যে সেই ছোটোই আছে। যে শুধু জিততে ভালোবাসে আজও। আর এই কারণেই সব খেলাকে ছাপিয়ে ফুটবল আবার জিতে যায়। জিতে যায় বিশ্বকাপ । হিমোগ্লোবিনে হিল্লোল তোলে গোল। আর অথর্ব অস্কার তাবারেজ উঠে দাঁড়ান।