শ্রেয়স আইয়ার
শেষ আপডেট: 18th March 2025 23:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছিলেন বল বয়। হলেন ক্রিকেটার। ২০০৮ সালে যিনি দাড়িয়েছিলেন বাউন্ডারি লাইনের ওপারে, ২০২৪ সালে তিনিই হাতে তুললেন বিজয়ীর ট্রফি।
পালাবদল, সংগ্রাম-সংঘর্ষের পথে বেয়ে সাফল্যের চূড়ায় উঠে আসার রহস্য খোলসা করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। সম্প্রতি জিও হটস্টারে সম্প্রচারিত একটি আলাপচারিতায় ফেলে আসার জীবনের অনেক অজানা গল্প খোলসা করেছেন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক। গত বছর আইপিএলে কেকেআরকে খেতাব জিতিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ সেই সাফল্য। কারণ দীর্ঘ বিরতির পর—প্রায় দশ বছর বাদে ট্রফি ঢুকেছিল নাইট রাইডার্সের ক্যাবিনেটে।
অথচ একদম গোড়ার গল্পটা ছিল বিলকুল আলাদা। প্রথম সিজনে তিনি ছিলেন বল বয়ের ভূমিকায়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেদিন খেলতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেটাই প্রথম অভিজ্ঞতা—প্রথমবার কোনও আইপিএল ম্যাচ এত কাছাকাছি দাঁড়িয়ে দেখার অভিজ্ঞতা। এবার, ২৫ মার্চ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গুজরাত টাইটানসের মুখোমুখি হতে চলেছে পাঞ্জাব কিংস। কেকেআরকে খেতাব জেতানোর পর নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ট্রফি উপহারের লক্ষ্যে ময়দানে নামতে চলেছেন শ্রেয়স।
তার আগে অতীতের স্মৃতি রোমন্থনের সূত্রে তিনি বলেছেন, ‘গলি ক্রিকেট থেকেই আমি উঠে আসা। সেই সময় আমি মুম্বইয়ের অনূর্ধ-১৪ টিমে খেলতাম। আর দলের নির্দেশ ছিল স্পষ্ট: সবাইকে খেলার পাশাপাশি আইপিএলে বল বয়ের কাজও করতে হবে। সেই আমার আইপিএলের প্রথম অভিজ্ঞতা, এত কাছ থেকে দেখা। তখন আমি খুবই লাজুক ছিলাম। গুটিয়ে থাকতাম। সেই সময় রস টেলর ছিলেন আমার প্রিয় খেলোয়াড়। তাই আড় ভেঙে একদিন তাঁকে বলেছিলাম: স্যার, আমি আপনার খুবই বড় ভক্ত।‘ টেলর আমায় ধন্যবাদ জানান। তখন ক্রিকেটারদের থেকে জার্সি কী গ্লাভস চাওয়া চালু রীতি ছিল। কিন্তু আমি এতটাই মুখচোরা ছিলাম যে, কিছুই চেয়ে উঠতে পারিনি।‘
এবার আর জার্সি চাওয়া নয়। সতেরো বছর বাদে মাঠে নামার আগে অনুরাগীদের সই বিলোবেন, তুলবেন সেলফি। সতেরো বছরে আস্ত জীবনটাই বদলে গিয়েছে শ্রেয়সের।