ধর্মশালা স্টেডিয়াম
শেষ আপডেট: 9 May 2025 13:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাঠের সমস্ত আলো নিভে যায়নি, নিভিয়ে ফেলা হয়েছে!
শুধু আইপিএল নয়, খেলাধুলোর ছোট-বড় কোনও মঞ্চেই এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। কাল রাতে এমন অভাবনীয় দৃশ্যের সাক্ষী থাকল হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা স্টেডিয়াম। কাশ্মীর সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনা, ভারত-পাক দু’শিবিরেই অবিরাম গুলির লড়াই ও যুদ্ধের আবহে আচমকা পাঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাদশ ওভারের প্রথম বলের পরেই নিভে যায় মাঠের আলো। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দুই দলের ক্রিকেটারদের। মাঠে ততক্ষণে জল্পনা, প্রশ্ন ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে উৎকণ্ঠা! দর্শকদের অধিকাংশই বুঝে যান, ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হচ্ছে, বোর্ডের কথামতো ‘টেকনিক্যাল কারণে’ নয়, বরং পাক হামলার আগাম আশঙ্কা করে!
কোন পরিস্থিতিতে স্টেডিয়ামে বসা দর্শকদের সরানো হয়, কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে বোমাতঙ্ক—সেটা তুলে ধরেছেন এক চিয়ারলিডার। ময়দান ফাঁকা হওয়ার ঠিক পরেই তিনি হোটেলে ফেরার পথে একটি ভিডিও বার্তা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘গোটা স্টেডিয়াম ফাঁকা করা হচ্ছিল। ম্যাচের মধ্যেই। খুব খুব ভয় করছিল। সবাই চিৎকার করছিল, বোম পড়তে চলেছে! অবস্থা এখনও বেশ ভয়ংকর। আমরা সত্যি ধর্মশালা যেতে চাই। আশা করছি আইপিএল কর্তৃপক্ষ আমাদের খেয়াল রাখবে। জানি না কেন কাঁদছি না। হয়তো যা কিছু হচ্ছে, সে সব দেখে ভয়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছি।‘
কিন্তু এতকিছুর মধ্যে কেমন অবস্থা হয়েছিল ক্রিকেটারদের? কীভাবে তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়? বিসিসিআইয়ের এক অধিকর্তা, যিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, বলেন, ‘ধর্মশালার কাছে পাঠানকোটে হামলার খবর আসে। আমাদের তক্ষুনি হোটেলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুহূর্তে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেটারদের পাঞ্জাব কিংসের বাসে এবং পাঞ্জাবের খেলোয়াড়দের দিল্লির বাসে বসানো হয়। আমরা বাইরে বেরোতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চারপাশে প্রবল ভিড়। সবকিছু দেখে বিদেশি ক্রিকেটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকে সেই মুহূর্তেই নিজেদের দেশে ফিরে যেতে চাইছিলেন।‘
প্রসঙ্গত, কালকের ম্যাচ বাতিলের পাশাপাশি আইপিএলের বাকি সমস্ত ম্যাচ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। আজ সকালে জরুরি বৈঠকের পর এই ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও পড়শি মুলুকে পিএসএল চালু থাকবে। তবে খেলা আয়োজিত হবে আরবের ময়দানে। তার ভেন্যু ও সময়সূচি পরে ঘোষণা করবে পাক ক্রিকেট বোর্ড।