সুনীল গাভাসকার
শেষ আপডেট: 27th February 2025 15:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘হিংসে নয়, চেষ্টা করো’।
দূরপাল্লার ট্রাকের পেছনে লেখা সুপরিচিত বাহনলিপির সুর-ই শোনা গেল প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকারের (Sunil Gavaskar) গলায়। এরই ধারঘেঁষা বয়ানে বিঁধলেন ইংল্যান্ড (England) ক্রিকেটারদের। জানালেন—ইংল্যান্ডের স্বভাবই হল কাঁদুনি গাওয়া। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) গ্রুপ স্তর থেকে ছিটকে গিয়ে আসল সমস্যার সমাধান না খুঁজে তারা যেভাবে ভারতের দিকে বিভিন্ন ইস্যুতে আঙুল তুলেছে, তাতে তিনি বিন্দুমাত্র অবাক নন।
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার সাদা বলের ক্রিকেটে বেকায়দায় পড়েছেন জস বাটলাররা। ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে নয়া কোচ হিসেবে আনা হয়েছে। তবু পুরোনো রোগ কিছুতেই সারছে না। আরেক হেভিওয়েট দল পাকিস্তানকে পথে ফেরাতে যেভাবে আমূল রদবদলের ধুয়ো উঠেছে, সেই একই স্বর শোনা যাচ্ছে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্দরমহলে। মোটামুটিভাবে তিনটি বিষয়কে সমালোচনার জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সমালোচকেরা—এক, ব্যাটসম্যানদের মানসিকতা। দুই, দল বাছাই ও টিম কম্বিনেশন এবং তিন, খেলোয়াড়দের গ্রহণযোগ্যতা।
আর এই তিনটি ইস্যুকে সামনে টেনেই ইংরেজদের বিঁধেছেন সুনীল। তিনি বলেন, ‘হারার পরদিন সকালেই ইংল্যান্ড টিম আসবে আর কাঁদুনি গাইবে। ইংরেজরা মনে করে, ওরা অপরাজিত। আর যদি হারে তাহলে তার পেছনে একটা অজুহাত থাকবেই থাকবে। যেমন-তেমন অজুহাত নয়, ওরা বলবে না বিপক্ষ দল ভাল ছিল কিংবা ওরা সেদিন ভাল খেলেনি। এর বদলে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা সবকিছু নিয়ে অভিযোগ শুরু করবে।‘
গাভাসকারের মতে, এই কারণেই চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের নামে যা নয় তাই বলছিল ইংল্যান্ড ক্যাম্প। উল্লেখ্য, এর আগে দলের অধিনায়ক জস বাটলার, প্রাক্তন ক্রিকেটার নাসির হুসেন এবং মাইকেল আথারটন দাবি করেন, যেহেতু পাকিস্তানের বদলে দুবাইয়ের একটিমাত্র স্টেডিয়ামে খেলছেন রোহিতরা, তাই তাঁরা অনৈতিকভাবে বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন। ভারতের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াতের সময় বাঁচছে, একটিমাত্র পিচের কথা মাথায় রেখে খেলোয়াড় বাছাইয়ের সুবিধা নিচ্ছে তারা—অভিযোগ তোলে ইংল্যান্ড ক্যাম্প।
যদিও এসব নস্যাৎ করে সুনীল পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন—‘আইসিসিতে তো ইংল্যান্ডেরও প্রতিনিধি ছিল। তাঁরা এই নিয়ে কিছু বলেননি কেন? দ্বিতীয়ত, ভারত যদি খেলতে অস্বীকার করে তাহলে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট কি আদৌ আয়োজন সম্ভব?’