
জেলে মিলছে না প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন সুশীল
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি কী আর সাধারণ কোনও অপরাধী (প্রমাণ নয় যদিও), যে বাকিদের মতো যা খাবার দেবে, তাই খেয়ে নেবেন!
তিনি ভারতের রত্ন কুস্তিগির সুশীল কুমার, যিনি দু’বারের অলিম্পিকে পদকজয়ীও। তাঁকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করতে পারে দিল্লি পুলিশ, কিন্তু এখনও তো প্রমাণ নয় কোনও কিছুই, তা হলে তাঁকে জেলে সাধারণমানের খাবার কেন দেওয়া হবে? সেই প্রশ্ন সামনে রেখেই নামী কুস্তিগির আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
জেলে সুশীলকে দেওয়া হচ্ছে মোট ৮টি রুটি, দু’কাপ দুধ চা, আর ৪টি থিন অ্যারারুট বিস্কুট। রাতে পাচ্ছেন ছয়টি রুটি ও সবজি। এত অল্প পরিমান খাবার খেয়ে তিনি অসুস্থবোধ করছেন। সেটি আইনজীবী মারফৎ আদালতকে সোমবার জানাবেন ঠিক করে রেখেছেন।
সেলে যতবার তাঁকে এই খাবার দেওয়া হচ্ছে, তিনি বেজার মুখ নিয়ে পুলিশ অফিসারকে বলছেনও, ‘‘আমার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কোথায়? জানেন না, আমরা প্রোটিন খাবার বেশি খাই?’’
এই নিয়ে নিত্য বচসাও হচ্ছে তাঁর সঙ্গে। সুশীল মনে করেন, তিনি ১২ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কোনও কিছুই যখন প্রমাণিত নয়, সেইসময় এমন করা হবে কেন! এছাড়াও প্রশ্ন, তাঁকে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, তাতে তাঁর পেট ভরছে না। কারণ কুস্তিগির ও বডিবিল্ডাররা গড়পড়তাদের থেকে বেশি পরিমানে খাবার খান।
একবার সুশীলই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি দিনে ৮টি ডিম, এক বালতি দুধ পান করেন। তারপর নানা প্রোটিন জাতীয় খাবার তাঁর খাদ্য তালিকায় থাকে।
সাগর রানা খুনের ঘটনায় সুশীলকে প্রথমে ১৯ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়। তারপর তাঁকে দুই ধাপে পুলিশ থেকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে ঘটনা বিচারাধীন। তিনি যে ওই জুনিয়র কুস্তিগিরকে মারধর করেছেন, তার একটি ভিডিও ফুটেজও পুলিশের কাছে এসেছে।
এর মধ্যে সুশীলের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফের এক সপ্তাহ বাদে তাঁর ফের পরীক্ষা হবে।