শেষ আপডেট: 22nd October 2020 05:38
মণীশ-বিজয়ের ব্যাটে রাজস্থানকে হারিয়ে আইপিএল জমিয়ে দিল হায়দরাবাদ
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জমে গেল আইপিএল। দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর ও মুম্বই অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও চার নম্বর দল হিসেবে প্লে-অফের দৌড়ে এসে গেল চারটে দল। কলকাতা নাইট রাইডার্স খানিকটা এগিয়ে থাকলেও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদও চলে এল দৌড়ে। আর হায়দরাবাদকে জেতানোর পিছনে প্রধান ভূমিকা নিলেন মণীশ পাণ্ডে ও বিজয় শঙ্কর। তাঁদের ব্যাটেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেল অরেঞ্জ আর্মি। এদিন ছিল দুই অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের লড়াই। আর তাতে স্টিভ স্মিথকে টেক্কা দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। দলে কেন উইলিয়ামসন না থাকায় বাধ্য হয়ে জেসন হোল্ডারকে দলে নিতে হয়েছিল ওয়ার্নারকে। কিন্তু সেটাই শাপে বর হল তাদের জন্য। সঞ্জু স্যামসন, স্টিভ স্মিথ ও রিয়ান পরাগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিলেন হোল্ডার। সেইসঙ্গে উথাপ্পাকে রানআউটও করেন তিনি। আর এই চারটে উইকেটেই অনেকটাই পিছিয়ে গেল রাজস্থান। রাজস্থানের হয়ে স্যামসন ৩৬ ও স্টোকস ৩০ রান করেন। কিন্তু কেউ বেশি রান পাননি। আর তার ফলেই ২০ ওভারে ১৫৪ রানের বেশি করতে পারেনি রাজস্থান। কৃপণ বোলিং করলেন হায়দরাবাদের বোলাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদের প্রধান দুই ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার ও বেয়ারস্টর উইকেট নিয়ে রাজস্থানকে এগিয়ে দেন জোফ্রা আর্চার। চাপে পড়ে যাওয়া ম্যাচ বের করেন মণীশ পাণ্ডে। তাঁকে সঙ্গ দেন বিজয় শঙ্কর। অনেক দিন পরে নিজের রূপে দেখা গেল মণীশ পাণ্ডেকে। কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করেন তিনি। আর্চার বাদে বাকি বোলারদের টার্গেট করেন তিনি। অন্যদিকে ধীরে খেলছিলেন বিজয় শঙ্কর। মাত্র ২৮ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি করেন মণীশ। একটা সময়ের পরে বড় শট খেলা শুরু করেন বিজয়ও। চারদিকে শট খেলছিলেন মণীশ পাণ্ডে। কোনও বোলার উইকেট তুলতে পারেনি। তার ফলে ম্যাচ ধীরে ধীরে হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় রাজস্থানের। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় হায়দরাবাদ। মণীশ ৪৭ বলে ৮৩ রান ও বিজয় ৫১ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। রাজস্থানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের মধ্যে ফিরে এল হায়দরাবাদ।