শেষ আপডেট: 11th February 2021 13:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঋষভ পন্থ ভাল না ঋদ্ধিমান সাহা, কে ভাল কিপার? এই প্রশ্নে বরাবর সৈয়দ কিরমানি জানিয়েছেন ঋদ্ধির প্রতি তাঁর ভরসার কথা। কিন্তু তারপরেও তিনি ঋষভকে কোনওদিন ছোট করেননি। এবার মনে হয় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল ১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্যের। কিরমানি এবার ঋষভ নিয়ে বেশ বিরক্ত। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘উইকেটকিপিংয়ের প্রাথমিক ব্যাপারগুলোই এখনও শেখেনি ছেলেটা। অনেক কিছু শিখতে হবে। ব্যাটিং-এ ওর প্রতিভা নিয়ে কোনও কথাই নেই। তবুও বলব, কখন কোন শটটা খেলতে হবে আর কখন নয়, এটাও জানতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় যেমন দেখেছিলাম। ভাল বলেও দুমদাম চালাচ্ছে, এটা তো ঠিক নয়।’’ কী কী করলে পন্থের কিপিং আরও ভাল হতে পারে প্রশ্নে কিরমানির পরামর্শ, ‘‘প্রাথমিক বিষয়গুলি আগে মজবুত করতে হবে। টেকনিক জরুরি, যা ওর নেই। উইকেটকিপারের দক্ষতা বোঝা যায় যখন সামনে দাঁড়ায়। জোরে বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাপারটা খানিকটা সহজ। অনেকটা দূরে দাঁড়াতে পারে, বলের সুইং আর বাউন্স দেখে আন্দাজ করার সময় পাওয়া যায় কোনদিকে কীভাবে যেতে হবে। যথেষ্ট সময় থাকে হাতে।’’ দেশের হয়ে ৮৮ টেস্ট খেলেছিলেন। একই সঙ্গে কপিলদেব এবং স্পিন-ত্রয়ীর বলেও উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়েছেন, সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে ক্যাচ নিয়েছেন দু’ধরনের বোলিংয়ে। মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিং-দক্ষতা মাথায় রেখেও অনেক বিশেষজ্ঞ এখনও ভারতের সর্বকালের সেরা টেস্ট দলে উইকেটের পেছনে তাঁর নাম রাখতে আগ্রহী। কিরমানি অবশ্য মনে করছেন, চেন্নাই টেস্টে ব্যাট হাতেও উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছিলেন পন্থ, যা তাঁর মোটেও পছন্দ হয়নি। ‘‘টেস্টে কোনও ব্যাটসম্যান ৮০ রানে পৌঁছলে একটাই লক্ষ্য থাকা উচিত, সেঞ্চুরি করতে হবে। ঝুঁকি নেওয়ার কোনও মানে হয় না তখন। আমি সহজাত স্ট্রোক প্লেয়ার, হুকটা ভালই মারতে পারি – এই সব কথাই অর্থহীন তখন। সবচেয়ে বড় কথা, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে হয়, নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ সরিয়ে রেখে। দল কী চাইছে, বুঝে ব্যাট করতে হবে।’’ তাই কিরমানি আরও বলেছেন, ‘‘সেই জন্যই খুব ভাল লেগেছিল অস্ট্রেলিয়ায় ওর ব্যাটিং। সিডনি আর ব্রিসবেনে দলের কথা মাথায় রেখে ব্যাট করেছিল। যখন ব্লক করা দরকার ছিল, করেছিল। আবার যে-বলে মারা দরকার, মারছিল। প্রতিটা ইনিংসেই একই কাজ করতে হবে। তবে, এগুলো আস্তে আস্তে শিখবে। একদিনে সব শেখা যায় না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শিখতে হয়।’’ জানিয়েছেন প্রাক্তন কর্ণাটকী। তিরাশির বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ইনিংস যখন তাসের ঘর, কপিলদেব খেলেছিলেন অপরাজিত ১৭৫ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংস। আর সেই ইনিংসে ১৪০ রানে অষ্টম উইকেট পড়ার পর মাঠে এসেছিলেন কিরমানি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৪ রান করে। কপিলের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছিল ১২৬ রান। কিরমানি মনে করেন, ‘‘কিপারকে ভাল ব্যাট করতেই হবে। তিনিই দলের চালিকাশক্তি, তাঁকে উইকেটের পিছনে থেকে পুরো দলকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখতে হবে।’’